আছমা জান্নাত মনিঃসিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি নাম “দিনারপুর পরগনা”। প্রাচীনকাল থেকে এই পর্যন্ত জন্মেছেন অনেক জ্ঞানীগুনি ও পন্ডিত ব্যক্তিত্ব। দিনারপুরে জন্ম নিয়েছেন শাহ এম এস কিবরিয়া, শাহ ফরিদ গাজীর মতো অনেক সনামধন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দিনারপুর টিলা ও পাহাড় বেস্টিত জনপদ এবং এই এলাকায় এমন ও এলাকা রয়েছে যেখানে এখনও সভ্যতার আধুনিক সুযোগ সুবিধাগুলো মানুষ এর কাছে পৌছায়নি। কিন্তু এরপরও থেমে নেই এই এলাকার কিছু স্বপ্নবাজ তরুনেরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নিয়েও যারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন মানবতার সেবায়। শহরের ছেলেমেয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তারাও নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সেবামুলক সামাজিক সংগঠন।কেউ সেচ্ছায় রক্তদান করছেন, কেউ বিনামুল্যে চক্ ষুচিকিৎসার জন্য এলাকায় বিভিন্ন ক্যাম্পিং করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ বা অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাড়াচ্ছেন আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে। এই মানবতার অপার দৃস্টান্ত স্থাপনকারী স্বপ্নবাজ তরুনেরা ২০১৬সালে দিনারপুর যুব সমাজের উদ্যোগে প্রায় ৭০০মানুষকে বিনামুল্যে চক্ষুসেবা দিয়েছিলেন, এরপর থেকে তারা আর থেমে থাকেন নি। নিয়মিতই ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প,চক্ষু শিবির সহ বিভিন্ন সেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।এলাকার অসহায় মানুষ তাদের ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা গ্রহন করে সুবিধাভোগ করতে পারছে।দিনারপুরে সেই স্বপ্নবাজদের একজন মিজানুর রহমান।যিনি চোখের চিকিৎসক হিসেবে একটি হাসপাতালেও কাজ করলেও অবসর সময়ে ছুটে আসেন এলাকায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবীমুলক কাজে অংশ নিতে। দিনারপুরে সেচ্ছায় রক্তদাতা হিসেবে পরিচিত মোঃ লুৎফর রহমান যিনি রক্তের প্রয়োজন হলেই ছুটে যান মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিতে। আরেকজন তরুন জনপ্রতিনিধি জোবায়ের আহমেদ জুবু, যিনি ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এলাকার তরুনদের বিভিন্ন জনসেবামুলক কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেন। দিনারপুরের যুব সমাজেকে এসব সেবামুলক কাজে আগ্রহী করতে দিনারপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষকরা ও আন্তরিকতার সহিত শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন। তাদের মধ্যে দিনারপুর কলেজের ইংরেজি প্রভাসক মীর মোশারফ মিঠু। যিনি এলাকার সেবামুলক কাজে যুব সমাজকে প্রতিনিয়ত মোটিভেট করে যাচ্ছেন। দিনারপুরের স্বপ্নবাজেরা মনে করেন, তাদের স্বপ্নের দিনারপুরে মানবতার জয়গানে মুখরিত হবে।এবং হাসি ফুটবে সকল দুস্থ, অসহায় ও নিপীড়িত মানুষ এর মুখে।