ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেটে অপরাধ রাজ্যের মুকুটহীন সম্রাট লায়েছ। মাদক আমদানী, বিক্রি ও যুবদের মাদকে আসক্তকরণ, জনহয়রানী সহ এমন কোন অপরাধ অপকর্ম নেই যা সে করছেনা।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার পুত্র লায়েছ আহমদ প্রথমে ছিল ছিচকে চুর। চুরি করে অন্যদের ফাঁসিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিতো সে। ক্রমশ লায়েছ বড় ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে পড়ে। বিদেশ থেকে মাদক আমদানী, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা খুব লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় লায়েছ এ অবৈধ ব্যবসায় ঢুকে পড়ে। বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে মাদক আনে ও দেশে তা পাচার ও বিক্রি করতে থাকে। তার মাদক পাচারের জন্য একটি বাহিনীও রয়েছে। তাছাড়া এ মাদক সে বিভিন্ন স্টল, পানের দোকানে রেখেও বিক্রি করে। ইয়াবা, মদ, গাজা, বিদেশী দামী ব্রান্ডের মদ তার কাছেই পাওয়া যায়। ইয়াবা সাপ্লাই, মদ-গাজা বিক্রির জন্য গঠিত লায়েছ বাহিনীর গডফাদার হিসেবে পরিচিত সে। লায়েছ তার বাহিনীকে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। লায়েছের এসব অপরাধ অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নানা নির্যাতন। মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, রাতের আধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার নজিরও রয়েছে।
জানা যায়, লায়েছের লাগামহীন অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে উঠার পেছনে রয়েছে নানা কারণ। স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে চলাফেরা করে সে। তার ব্যবসার মূল হলো, মাদক আর চোরাই মোটরসাইকেল। তার বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করে মোটরসাইকেল এনে বিক্রি করে সে।
সম্প্রতি গোলাপগঞ্জ থানায় একটি মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া কোতোয়ালী থানা জি.আর ৩১৪/১৫, ৩৫৫/১৪, শাহপরাণ থানায় জি.আর ২০১/১৪, জালালাবাদ থানায় জি.আর ৭৪/১৪, মৌলভীবাজার থানায় জি.আর ২৮১/১৩-নং মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানা, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, মোঘলাবাজার, জকিগঞ্জ থানায় অসংখ্য মামলা ছিল।