দুহাতে উপার্জন করেও মাস শেষে মানিব্যাগ গড়ের মাঠ? এদিকে আপনারই সহকর্মী হয়তো আপনার থেকেও কম উপার্জন করে আবার মাসে মাসে টাকা জমাচ্ছেনও! শুধু আপনার বেলায়ই হিসাব মেলে না যেন। আপনার মতো এমন সমস্যায় আছেন আরো অনেকেই। বেশকিছু কৌশল ও হিসাব মাথায় রাখলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জেনে নিন সেসব উপায় আর বাজেট তৈরি করুন সেভাবেই-আজকাল বেশ কিছু অ্যাপ পাওয়া যায়, যেখানে সারা মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে নেওয়া খুবই সহজ। এমনকি, আগে থেকে দিয়ে রাখা হিসাব থেকে কোনও কারণে বেশি খরচ হলে সেই খবর অ্যাপই জানান দেবে আপনাকে। তেমন একটা অ্যাপ নামিয়ে নিন প্লে স্টোর থেকে।
মাসের শুরুতেই একটা হিসাবের খাতা করুন। সেখানে লিখে রাখুন মাসের শুরুতেই কোথায় কত খরচ, তার হিসাব। সেই হিসাব বদলালেও তা-ও লিখুন খাতায়। রোজই আপডেট করুন সেই তালিকা। তাতে আপনার আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষা সহজ হবে।
অনলাইন শপিংয়ের নেশা থাকরে দ্রুত বাদ দিন। মনোবিদদের মতে, অনলাইন শপিং এক ধরনের নেশা। যার প্রকোপে পড়ে ঘন ঘন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যে। ক্রেডিট কার্ডের ধারের বোঝা কিন্তু খরচের বোঝা বাড়ায়।
কেউ কেউ শখের বশে খরচ করে ফেলেন মাত্রাতিরিক্ত। এমন হলে এই ধরনের খরচে রাশ টানুন। বরং এক বছরে কী কী কিনবেন তার তালিকা মাস ধরে ভাগ করে নিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কেনার মাত্রা প্রয়োজনের বাইরে না চলে যায়।
অন্যের যা আছে, তা এক্ষুণি আপনারও চাই- এমন অন্যায্য দাবি থাকলে মনকে বোঝান, দরকারে মনোবিদের সাহায্য নিন। এতেও খরচের বহর বাড়ে।
বিজ্ঞাপনী চমকে যা দেখেন তাই কেনেন? এমন অভ্যাস থাকলে বদলে ফেলুন। বিজ্ঞাপনে দেখানো সবগুলোই ব্যবসায়িক স্বার্থে তৈরি। সেই বাস্তব বুদ্ধি রেখে জিনিস কিনুন। একান্তই দরকার না হলে তা বাদ দিন কেনার তালিকা থেকে।
চেষ্টা করুন প্রতি মাসে কিছু টাকা পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্কের ডিপোজিট বা বাজারচলতি ভালো কোনো প্রকল্পে টাকা জমান। চেষ্টা করুন বিমা শুরু করতে। এতে মাসে মাসে কিছু টাকা অন্তত জমবে।
jagonews24