ডিমের খোসা আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু না। ডিমের খোসাও আসতে পারে আপনার উপকারে। আশ্চর্য হলেও সত্য এই ফেলনা জিনিসটির কিছু অদ্ভুত ব্যবহার রয়েছে যা আপনার ধারণারও বাইরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের খোসার ৬টি দারুণ ব্যতিক্রমী ব্যবহার!
১. ক্যালসিয়ামের বড় একটি উৎস: ডিমের খোসা মানুষ এবং গৃহপালিত প্রাণীর জন্য ক্যালসিয়ামের অনেক বড় একটি উৎস। এটি ভাল করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে স্টেরিলাইজ করে নিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়ো করা ডিমের খোসা লেবুর রস কিংবা ভিনেগারে মিশিয়ে সালাদের ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং ৯ মাসের বেশি বয়সী গৃহপালিত প্রাণীর খাবারে মিশিয়ে দিন।
২. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: নিজের বাসায় শখের বাগান থাকলে ডিমের খোসা ময়লার বালতিতে ফেলে না দিয়ে গাছের গোঁড়ায় দিন। চাইলে এটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারেন। ডিমের খোসা থেকে মাটি পুষ্টি সঞ্চয় করে। এতে মাটির উর্বরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
৩. বাগানকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচায়: শুধু মাটির উর্বরতাই বৃদ্ধিই নয়। পোকামাকড়ের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা। বাগানের বিভিন্ন স্থানে ডিমের খোসা ছড়িয়ে রাখুন। দেখবেন নানা ধরণের পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ বেঁচে যাবে।
৪. ত্বক নরম করতে সাহায্য করে: ডিমের খোসায় লেগে থাকা ডিমের খোসার লিক্যুইড ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে কাজ করে। আঙুলের মাথায় এই লিক্যুইড লাগিয়ে তা মুখে ঘষে নিন। দেখবেন ত্বক নরম ও কোমল হয়ে উঠেছে।
৫. কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: ডিমের খোসা সাদা কাপড়কে উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। একটি কাপড়ে মুড়িয়ে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ডিমের খোসা দিয়ে ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে দেখুন। সাধারনের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করবে।
৬. গাছের চারা অঙ্কুরিত করতে সহায়তা করে: যদি পছন্দের গাছের চারা তোলার মতো ভালো স্থান না পান এবং বাইরের মাটিতে অনেক বেশি ময়েসচার বেশি থাকে তবে ডিমের খোসা ব্যবহার করবেন। একটি ডিমের ওপরের চিকন অংশ সাবধানে খানিকটা ভেঙে ডিম বের করে নিয়ে এতে সামান্য মাটি দিয়ে বীজ দিয়ে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভাল চারা উঠে যাবে।