স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ সদর ও বিশম্ভপুর উপজেলা নিয়ে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের নৌকার প্রত্যাশি ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমনের কাছে হেরে গেলেন জাতীয় পার্টির পেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জে আসেন তিনি।
গত নির্বাচনে সুনামগঞ্জ -৪ আসনের লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিনা ভোটে জয়লাভ করেন পীর মিসবাহ। নির্বাচিত হওয়ার পর সমস্থ বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সুনামগঞ্জে ও বিশম্ভপুর উপজেলায় কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তাই আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে নৌকা ছাড়তে নারাজ এলাকাবাসি।
প্রমাণ সরুপ চলতি মাসের ৯সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে নৌকা প্রতিকে ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমনের পক্ষে গনজোয়ার দেখা যায়। বর্তমান সংসদ সদস্য পীর মিসবাহ জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ড ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে সুনামগঞ্জে গনজোয়ারের লক্ষে নিয়ে আসেন। কিন্তু জনগন তাতে সাড়া দেননি। রোববার সুনামগঞ্জ বালুর মাঠ জনসভায় বক্তব্যকালে তিনি বলেন,জাতীয় পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করলে জনগন না খেয়ে থাকবে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এ বক্তব্যে সুনামগঞ্জ ও বিশম্ভপুর বাসি হতভাগ। যে আসনটি আওয়ামীলীগের দয়ারদান,সেখানে কিভাবে একক নির্বাচনে জয়লাভ করে মানুষকে বাচিয়ে রাখতে চান?
এবার জনগণ এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে কাঙ্খিত উন্নয়নের ছোয়া পেতে চান। নৌকার তোলনায় লোক শূন্য জনসভায় নৌকাই এলাকাবাসীর উন্নয়নের অবলম্ভন। সুনামগঞ্জ সদর ও বিশম্ভপুর উপজেলার জনগন বুঝিয়ে দিয়েছেন, এবার তারা নৌকা প্রতীক ছাড়তে নারাজ।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার এম এনামূল কবির ইমন জানান,গত সংসদ নির্বাচনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন। বিএনপির নৈরাজ্যের কারনে দেশের স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পাটিকে উক্ত আসনটি দিয়ে দেন।
জাতীয়পার্টীর সমর্থিত সংসদ সদস্য দ্বারা এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় সুনামগঞ্জ সদর ও বিশম্ভপুরবাসী এ আসনে নৌকার প্রার্থীতার জন্য গনজোয়ার সৃষ্টি হয়। ৯ সেপ্টেম্বরের গনজোয়ারে বিপক্ষে বর্তমান সংসদ সদস্য তার পক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সুনামগঞ্জে এনেও গনজোয়ার ব্যর্থ হন। ইনশাল্লাহ এ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত জেনেই সাবেক প্রেসিডেন্ট উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।