ডেস্ক রিপোর্ট:: মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পাড়–য়া লামাপাড়া গ্রামের হুমায়ূন রশীদ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি আইনজীবির মাধ্যমে পুলিশ সুপারের কাছে এ আবেদন করেন।
এতে তিনি জানিয়েছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার বিতর্কিত ওসি আব্দুল হাইয়ের কথা মতো ঘুষ না দেওয়ার কারনে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে এনে পূর্বের দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় ১৫ দিন কারাবরনের পর বুধবার জামিন লাভ করে গতকাল তিনি পুলিশ সুপারের কাছে মামলা থেকে অব্যাহতি ও ওসি আব্দুল হাইয়ের বিচার চেয়ে এ স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
স্মারকলিপিতে হুমায়ূন উল্লেখ করেন- গত ১৪ ই আগষ্ট ভোররাতে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আনেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাই। রাতে থানা হাজতে রাখার পর সকালে ওসি আব্দুল হাই এসে আমাকে বলেন- ‘৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তোকে ছেড়ে দেবো। অন্যথায় তোকে ৪-৫টি মামলায় আসামি করে আদালতে পাঠাবো। আর বের হতে পারবে না।’ আমি এ সময় ওসি আব্দুল হাইকে অনুনয় করে বলি- ‘আমার কাছে কোনো টাকা নেই। আমার পরিবারও আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয়। টাকা দেবো কোথায় থেকে।’ এ কথা শুনার পর ওসি তাকে মারধর করেন। সকালে ২রা আগস্ট গুচ্ছ গ্রামে পাথর চুরির ঘটনায় দায়ের করা পূর্বের একটি মামলায় সন্ধিগ্ন আসামি দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠান। এ মামলায় ১৫ দিন কারাবরণ করেন বলে জানান হুমায়ূন।
হুমায়ূন আবেদনে আরও উল্লেখ করেন- ওসির কিছু সোর্স ও পাথর লুটপাটকারীদের ইন্ধনে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল। এখন জামিন পাওয়ার পর তারা নতুন করে তাকে মামলায় ফাসানোর চক্রান্ত করছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা ও একই সঙ্গে তদন্তের মাধ্যমে তাকে ওই মামলা থেকে অব্যা