ডেস্ক রিপোর্ট:: আক্রোশমুলক দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের সুজন মিয়া। গতকাল দুপুরে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। আইনজীবির মাধ্যমে দেওয়া স্মারকলিপিতে সুজন মিয়া জানিয়েছেন- বিনা কারনে দীর্ঘ ১৮ দিন কারাভোগের পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদী হওয়ায় তাকে অন্য মামলায় আসামি করার পায়তাঁরা চলছে বলে দাবি করেন সুজন।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পাড়–য়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন- গত ২ আগষ্ট রাতে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ গুচ্ছ গ্রাম এলাকায় বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। ওই দিন রাতে তিনি নিজ বাড়িতে ঘুমে ছিলেন। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাইয়ের নির্দেশে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় থানায় এনে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। ঘুষ দিতে না পারায় তাকে গুচ্ছ গ্রামের অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করে কারান্তরীণ করা হয়।
পরে তার পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহায়তায় চাদা তুলে তাকে জামিন করালেও ওসি আব্দুল হাই গত জুন মাসে দায়ে করা অপর একটি মামলায় তাকে আসামি করে আদালতে আবেদন করলে তার জামিন হয়নি। পরবর্তীতে ঈদের দুই দিন আগে ২০ আগষ্ট তিনি আদালত থেকে ওই মামলায়ও জামিন পান। সুজন মিয়া দাবি করেন- ‘জীবনে আমি কখনো মামলার আসামি হইনি। কিংবা আমার পরিবারের কেউও মামলার আসামি হননি। আমরা নিরীহ শান্তিপ্রিয় লোক। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জের ওসি আব্দুল হাই আমার উপর পরপর দুটি আক্রোশমুলক মামলা দিয়ে দীর্ঘ ১৮ দিন কারাগারে রেখেছেন। আমি তার কথা মতো ৫০ হাজার টাকা চাদা না দেওয়ার কারনে ওসি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।’ স্মারকলিপিতে ওই দুটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন সুজন মিয়া। একই সঙ্গে তাকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।