ডেস্ক নিউজ :: হতবাক এলাকাবাসী আবারও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন শাহানা বেগম শানু। দরিদ্র অসহায় পরিবারে জন্ম শানু ও তার স্বামী তাজুল ওরফে তাজুল ইসলাম। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর রাজকীয় উত্থান। চা বয় থেকে কর্মজীবন শুরু করে ছাত্রদল কর্মী পরিচয়ে রাজনীতির আশ্রয়ে ছিনতাইয়ের ভুবনে দাপুটে পদচারণা ছিঁচকে ছিনতাইকারী তাজুল ইসলামের। স্ত্রী শানু ছিল তাজুলের যোগ্য সহচর। মহিলা হওয়ায় সত্ত্বেও শানুর বেপরোয়া ও হিংস্র মনোভাব এলাকায় বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। ২০০৮ সালে সিটি নির্বাচনে ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাজুড়েই শুরু হয় তাজুল-শানু জুটির একচ্ছত্র দাপট। শুরু করে ত্রাসের রাজত্ব। ২০১২ সালের ৫ই আগস্ট একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় ‘তোপখানায় সন্তু-শানুর নাইট মিশন’ শিরোনামে শানু কর্তৃক পানির ট্যাংকের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল রাতের অন্ধকারে ভাঙ্গারি দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি করলে সিলেট জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। তদুপরি ২০০৯ সালে সোবহানীঘাটে শ্রমিকদের হাতে মহিলা কাউন্সিলর শানু লাঞ্চিত শিরোনাম, ২০১০ সালে বিলপারবাসী কর্তৃক তাজুল-শানুর লাঞ্ছিত ঘটনা, শানু-তাজুলের পরিবারের অতীত কুকর্মের ইতিহাস এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে উত্থানের নৈপথ্য কাহিনী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলুর প্রতিবেদন বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকায় লজ্জায় আর অপমানে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। যার দুরুন পরবর্তী নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয় শানু। কাউন্সিলর নির্বাচিত না হওয়ায় পরাজয়ের অপমানে ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিশোধপরায়ন ও আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। হত্যা করে নীলিমা সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদল নেতা কামাল আহমদকে। কামাল আহমদ ছিলেন বিজয়ী প্রার্থী দিবা রানী দে বাবলীর নির্বাচনী এজেন্ট। শানু সর্বশেষ সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পিছনে কামাল আহমদকে দায়ী মনে করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে শানুকে হারাতে হয়েছে স্বামী-সন্তানকে। পঙ্গুত্বও বরণ করেছে আরেক ছেলে।
এলাকাবাসীর অভিমত নিয়ে জানা যায়, স্বামী-সন্তান হারিয়ে শানু যেখোনে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার কথা, সেখানে পেয়েছে শুধুই ঘৃণা। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হতে হয়েছে অনেক নির্দোষ ও সম্মানিত ব্যক্তি। শানুর ইশরায় আক্রোবশত হামলা-মামলায় এলাকার পরিবেশ থাকে প্রায়ই উত্তপ্ত। সাবেক মহিলা কাউন্সিলর সুযোগের অপেক্ষায় জনগণ আবারও তাকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করলে এলাকায় ত্রাসের রাজ্ব কায়েম করে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। এলাকাবাসীর বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন, সুন্দর চেহরায় আড়ালে শানুর বেপরোয়া অবৈধ কর্মকাণ্ড ও দৌরাত্বের শেষ কোথায় ?