সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলীরগাও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হেলাল গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের ২০১৮ সালের এইচএসসি ফলাফল বিপর্যয়ে অধ্যক্ষ ফজলুল হককে দায়ী করে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, গোয়াইন ঘাট ডিগ্রী কলেজের ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। লিখা গুলি পড়ে মনে হচ্ছে অনেকটা রাখঢাক করে লিখা হচ্ছে, যার গায়ে লাগার কথা সে এইগুলি পাত্তাই দিচ্ছেনা। রাখঢাক না করে খোলাসা করেই লিখেন বলেন উদ্যোগ নেন। নাহলে এই মানুষ রুপি গণ্ডারের গায়ে লাগবে না। কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমরা সবাই বলি এবং জানি শিক্ষা ছাড়া গোয়াইনঘাট বাসীর উত্তরণের কোন উপায় নাই। গোয়াইনঘাটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের এই ক্রমাগত ফল বিপরযয়ের জন্য দায়ী একমাত্র বর্তমান অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলুল হক। এই নতজানু মেরুদণ্ডহীন তৈলবাজ মোসাহেব অথর্ব চুকলগুর এর কারনে আমাদের মেধা শ্রম ঘাম অর্থ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কলেজ আজ চরম অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। এই সল্পপরিসরে সব কিছু লিখা সম্ভব না । এখানে একটা বিষয় বলে রাখি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ মহোদয় যা উনার হ্বদয়ের গভীর থেকে উজাড় করে করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন। এই অপদার্থকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন আর এটাকে পূজি করে সে আমাদের বারটা বাজাচ্ছে এবং এম পি সাহেবের সবকিছু ম্লান করে দিচ্ছে । যা খুবই দু:খজনক। এখন আমার কথাহল মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যান গোয়াইন ঘাটের সকল শ্রেনী পেশার মানুষ নিয়ে একটা মিটিং ডাকুন। এখানে খোলামেলা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ হবে এটা আমার একান্ত অনুরুধ। আশাকরি চেয়ারম্যান সাহেব উদ্যোগ নিবেন।
যোগাযোগ করা হলে গোলাম কিবরিয়া হেলাল বলেন, ঐতিহ্যবাহী গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজ অনেক পরিশ্রম করে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এমপি ইমরান আহমদ এই কলেজের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। কিন্তু অধ্যক্ষ ফজলুল হক অদক্ষতা ও অযোগ্যতা ও দুর্নীতি প্রতিহত করতেই আমি এই স্ট্যাটাস দিয়েছি। আমি পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরো তার মুখোশ উন্মোচন করবো।