বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সিলেট আগমনে আবারো সংঘর্ষে জড়ালো সিলেটের ছাত্রদলের বিদ্রোহী অংশ। তবে এবার তাদের সরাসরি টার্গেটে পরিণত হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। জানা যায় সিলেটের আসন্ন সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট আসছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ খবর জেনে সকাল থেকে উপশহর পয়েন্টে জড়ো হয় পদবঞ্চিত ত্যাগী নির্যাতিত ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। দুপুর ১২ টার দিকে আমীর খসরু সেখানে পৌছালে তারা খন্দকার মুক্তাদিরকে কটাক্ষ করে এবং ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বিলুপ্ত বা স্থগিত করার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এর কিছুক্ষন পর বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা ডেকে পাঠান পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দদের। তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ সহ বর্তমান কমিটিতে অছাত্র, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অযোগ্যতার কথা তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন খন্দকার মুক্তাদির তার গ্র“প ছাড়া আর বাইরের কোন গ্র“পের নেতৃবৃন্দকে কমিটিতে আসতে দিতে চান না এবং তার এর পক্ষপাতিত্ব কট্টর গ্র“পিংয়ের কারনে ছাত্রদলের করুণ অবস্থার কথাও তুলে ধরেন তারা। আমীর খসরু এসব ব্যাপার মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাদের এ ব্যাপারে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ যখনই আমীর খসরুর সাথে দেখা করে নিচে নেমে আসেন তখনই সেখানে উপস্থিত হন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তাকে দেখেই ক্ষোভের আগুনে ফেটে পরে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দরা। তারা তাকে সামনে পেয়েই উচ্চবাক্য কথা ও চর তাপ্পর মারতে থাকে, তার সাথে থাকা সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আফম কামাল ও যুবদল কর্মী সাহেদুর রহমানসহ কিছু সংখ্যক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকেও আক্রমণ করে। এতে মুক্তাদির গ্র“পের ১০/১৫জন আহত হন। এর পর তারা খন্দকার মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া শুরু করলে পুলিশ এসে সকলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।