ডেস্ক রিপোর্ট: গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কতোয়ালপুরের শতবর্ষের পুরনো একটি রাস্তা জবরদখলকারীদের হাত থেকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে রাস্তাটি উদ্ধার করা হয়। মামলা নং গোলাপগঞ্জ বিবিধ-৩৩/২০১৭। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর নির্দেশে গোলাপগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে এবং গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় জবরদখলকৃত রাস্তার উপর থেকে দেয়াল ও স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। ফলে দীর্ঘ দিনের কষ্ট ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পান ১০/১২টি পরিবারের সদস্যরা। অবৈধ দেওয়াল ও স্থাপনা অপসারণকালে এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, কতোয়ালপুরের মৃত হাজী আজিজুর রহমান খানের ছেলে নুর হোসেন খান আজাদ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে নিজেদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি তাদের পূর্বপুুরুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি মামলার আসামীরা জবরদখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন। মামলার আসামী মো. আব্দুল লতিফ ও তার স্বজনরা যাতায়াতের এ রাস্তাটিতে দেওয়াল ও স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও জবরদখল করে রাখে। যে কারনে নুর হোসেন খানের পরিবারসহ ১০/১২টি পরিবারের লোকজনকে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত কষ্ট স্বীকার করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। কতোয়ালপুর এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব মো. মাহতাব মিয়া, আব্দুল কাদির গেদা মিয়া ও ফখরুল ইসলাম মুহিব জানান, যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় উক্ত রাস্তাটি নুর হোসেন খান আজাদসহ ১০/১২টি পরিবারের লোকজন ব্যবহার করে আসছিলেন। ৩ বছর পূর্বে মামলার আসামীরা জোরপূর্বক রাস্তাটি দখল করে নিয়ে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে ফেলে। নুর হোসেন খান আজাদের পরিবার সালিশের মাধ্য্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলেও দখলদার মো. আব্দুল লতিফ ও তার লোকজন তা এড়িয়ে চলে। পরবর্তীতে শান্তিপ্রিয় নুর হোসেন খান আজাদ আদালতের স্মরণাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত রাস্তা উদ্ধারের পক্ষে এই রায় প্রদান করেন। আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র এডভোকেট মো. খুরশেদ আলম খোকন।