ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট সদরের হাটখোলায় ইমামের দায়ের কুপে এক হাফেজে কুরআন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে-কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
গত শুক্রবার (২৯ জুন) বাদ জুমআ পাইকরাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে মসজিদের ইমাম এমদাদুল হক শামীম পাইকরাজ এলাকার বাসিন্দা হাফেজে কুরআন মুকতাবিস-উন-নুরকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেন।
এরপর আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হাফেজ মুকতাবিস-উন-নুর (২৯) সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের আবু তৈইবের ছেলে।
জানা যায়, সিলেট সদর হাটখোলা ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন রাউতকান্দি গ্রামের এমদাদুল হক শামীম দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করে আসছেন। গ্রামের একদল লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে সাধারণ মুসল্লিদের অসম্মতিতে তিনি ইমামতি করে আসছেন। এ নিয়ে হাফেজ মুকতাবিস-উন-নুরসহ গ্রামের লোকজনের সাথে ইমামের বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শুক্রবার ইমাম এমদাদুল হক শামীম হাফেজ মুকতাবিস-উন-নুরকে খবর দিয়ে মসজিদে নেন। মসজিদে যাওয়ার পর এমদাদুল হক ও তার সন্ত্রাসী লোকজন হাফেজ মুকতাবিস-উন-নুরকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে ইমাম এমদাদুল হক তার কক্ষ থেকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে মুকতাবিস-উন-নুরকে গুরুতর জখম করে। গুরুতর অবস্থায় হাফিজ মুকতাবিস-উন-নুরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন এবং মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধায় কর্ণপাত না করে ইমাম শামীম জোরপূর্বক মসজিদে আছেন। এতে এলাকার মুসল্লিরা মসজিদে নতুন ইমাম রাখার কথা বললে ইমাম উত্তেজিত হন। এক পর্যায়ে তিনি তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে মসজিদের দখল নিতে চান। কিন্তু এলাকাবাসীর পক্ষে মুকতাবিস-উন-নুর কথা বলায় ইমাম ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের জঘন্য হামলার ঘটনা ঘটান।
এলাকার কয়েকজন জানান, মুকতাবিস-উন-নুর জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করলে এবং মামলার প্রস্তুতি নিলে ইমাম এমদাদুল হক শামীম আরো উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং ফের হামলার জন্য তার বাহিনী গঠন করছেন বলে জানা যায়। এ অবস্থায় এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ মানুষ।