মাদক আমাদের সমাজের কি করছে তার ভয়াবহ চিত্র তরুণ ও যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে হবে। মাদক এক ঘরের শান্তি কিভাবে বিনষ্ট করছে সে বিষয়ে তাদেরকে জানাতে হবে। যদি মাদকের কুফলগুলো তরুণ ও যুব সমাজের কাছে তুলে ধরা যায় তাহলে আমাদের তরুণরা আর বিপথগামী হবেনা। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে। ঘরে ঘরে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তরা একথাগুলো বলেন। সিলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ র্যালি ও আলোচনা সভার অঅয়োজন করে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য দেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোসাম্মত নাজমানারা খানুম। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হাসান মোল্লা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্য দেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, মদনমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায়। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন নারকস সভাপতি সৈয়দ খিজির হোসেন এনু, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও প্রচারণা কমিটির সদস্য, গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদের সভাপতি জামিল চৌধুরী, ক্যাডেট নাফিদ, সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষাথী প্রিয়ানন্দী, মাদক ছেড়ে সুস্থ জীবনে পিরে আসা মাহমুদ হোসেন খান প্রমূখ।
সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে জেলা পরিষদে গিয়ে সভায় মিলিত হয়। র্যালী সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পূণর্বাসন কেন্দ্র এইম ইন লাইফ, নিউ প্রশান্তি, বাঁধন, প্রত্যাশা, প্রতিশ্র“তি, আহ্বান ও প্রেরণা।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, ঘরের দিকে নজর দিন, বাইরে সন্তান কি করছে সব সময় খবর নিন। নিজের সন্তানের প্রতি সতর্ক হলেই একটি পরিবার অনেক সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।
সভায় বক্তারা স্কুল কলেজ ও বাসা বাড়ি নির্মাণের আগে খেলার মাঠ যেন রাখা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রযুক্তির যুগে ট্যাব বা ল্যাপটপে খেলার পাশাপাশি সন্তানদের বাইরের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করতে হবে।