বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় ৪মাস থেকে কারাগারে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই দলকে ঢেলে সাজাতে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের চাপ দেন।ছাত্রদলের ব্যাচ নির্ণয় করেন ২০০০ব্যাচ। ২০০০ব্যাচ নির্ণয় করায় নিমেষেই বাদ পড়ে ১৯৯৮-১৯৯৯ ব্যাচ। যেমন কথা তেমন কাজ, তারেক রহমানের নির্দেশে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। দেশের কোথাও ১৯৯৮-১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্র দিয়ে ছাত্রদলের কমিটিতে আসছে এমন নজির নেই। কমিটি ২০০০ ব্যাচের। দেশের ভিবিন্ন জেলা মহানগর ছাত্রদলে ২০০০ব্যাচে কমিটি দিয়ে প্রথম ধাপে সফলতার প্রায় দ্বারপ্রান্তে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। দেশের কোথাও বড় ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষ বা কোন বিদ্রোহ হয়নি। যখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বাস্তবায়নে ব্যাস্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তখন ২০০০- ২০০১সালের জাল সার্টিফিকেট সংগ্রহে মরিয়া সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশিরা। কেউ জাল মাদ্রাসা সার্টিফিকেট নির্ভর, কেউ আবার অন্যের জাল সার্টিফিকেট নির্ভর। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন জালের ছড়াছড়ি। সিলেট জেলা ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশী আব্দুল কাইয়ূম, পিতাঃ- মৃত আব্দুল কাদির। মাতাঃ- নেহার বেগম। গ্রামঃ- আতাপুর, নয়াবাজার, বিশ্বনাথ। সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম তারিখঃ ০১- ০৬- ১৯৮২। এস, এস, সি ব্যাচ ১৯৯৯। সেশন ১৯৯৭-১৯৯৮। রোল নং ১০৩৫০৬। রেজিষ্টেশন নং ৩১১৭৩৫। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। তিনি জমির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় নয়াবাজার বিশ্বনাথ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উপরোল্লেখিত নিজ সার্টিফিকেট কেন্দে দাখিল না করে প্রতারনার আশ্রয় নেন জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাইয়ুম।
বিশ্বনাথ সিংগেরকাছ স্কুলের ২০০১সালের একটি সার্টিফিকেট দাখিল করেন, যেখানে নিজের নাম টিক রেখে ২০০১ব্যাচের বিশ্বনাথ সিংগেরকাছ স্কুলের ছাত্র আব্দুল কাইয়ূমের পিতা আব্দুল লতিফের নাম ও জন্ম তারিখ ১৯৮৬ সাল ব্যাবহার করেন।কাইয়ূমের এমন জালিয়াতি প্রসঙ্গে কথা বলেন মকসুদ বলয়ের এক নেতা, তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিতর্কিত করতেই কাইয়ূমের এমন জালিয়াতি।
তিনি কাইয়ূমের জাল সার্টিফিকেট দাখিল ও অপতৎপরতা বন্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আবেদন জানান।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ১৯৯৯ ব্যাচের কাইয়ূম যদি ছাত্রদলে আসতে পারে তবে ১৯৯৮ ব্যাচের মকসুদ- লিটনরা কেন আসতে পারবে না?
তিনি কমিটিতে আসতে এমন প্রতারনা ও দলিয় চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে যে দৃষ্টান্ত নজির স্থাপন করেছেন সেটার জন্য কাইয়ূম ও তার নেতা আব্দুল আহাদ খান জামালের বহিষ্কার দাবী করেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সাথে, তার সেলফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কাইয়ূমের জাল সার্টিফিকেট দাখিল প্রসঙ্গে সেলফোনে কথা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম তাহসিনা রুশদি লুনা, তিনি বলেন কাইয়ুম যদি ১৯৯৯ ব্যাচের হয়ে থাকে তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বিচার বিশ্লেষন করে দেখবে এবং ছাত্রদল থেকে সে নিমেষেই বাদ পড়বে।