সিলেট ৭১নিউজ ডেস্ক:সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ।
পারিবারিক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বাদাঘাট বাজারের মেইন রোডে মানিকের ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আশির্বাদপুষ্ট তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া তার সহযোগী পৈলনপুর গ্রামের ফারুক মিয়া, হযরত আলী, ইকবাল হোসেনসহ ১০/১২জন ধরে নিয়ে গিয়ে মাসুক মিয়ার বাড়িতে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
এ সময় স্থানীয় জনতা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ অদৃশ্য ইশারায় তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে। পরে মাসুক মিয়া সুকৌশলে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল চরগাও রহিছ মিয়ার বাড়ির বাঁশ ঝাড়ের পেছনের রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান, এএসআই পিযোষ দাসকে মাসুক মিয়াসহ তার লোকজন ধরে নিয়ে গেছে বলে জানানো হলেও তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে আজাদকে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পে আটক করে রাখে।
পরে রাত ১২টায় তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর জানান, তাকে স্থানীয় লোকজন ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, ‘স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মাসুক জনসম্মুখে সাংবাদিক আজাদকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে তার বাড়িতে যান। মাসুক মিয়ার সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা থাকায় সাংবাদিক আজাদকে পরে পুলিশে দেয়া হয়।’
আজাদ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব।
তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় নেতিবাচক চর্চা এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, হাবিব সরোয়ার আজাদ দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক যুগান্তরসহ স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার আশির্বাদপুষ্টদেরসহ তাহিরপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেছেন, তার সঙ্গে যেহেতু ইয়াবা পাওয়া গেছে মামলা নেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই