রুপালী মেশরামের বয়স ২৩ বছর। ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে তার বাস।
দিন দশেক আগে এই তরুণী একটি বাঘের সাথে রীতিমতো লড়াই করেছেন। তাও আবার লাঠির লড়াই।
আর সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়ে প্রাণে বেঁচে ঘরে ফিরেছেন এবং ঘরে ফিরে রক্তাক্ত মুখে একটি সেলফিও তুলেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত তার পোষা ছাগলকে ঘিরে।
ঘরে বসে হঠাৎ ছাগলের চিৎকার শুনতে পেয়ে দৌড়ে বাইরে গেলেন রুপালী।
গিয়ে দেখলেন বাঘের হামলার শিকার হয়েছে ছাগলটি।
প্রিয় ছাগলকে বাঁচাতে লাঠি নিয়ে মুখোমুখি হলেন বাঘের।
কিন্তু বাঘও লাঠির জবাবে আক্রমণ চালালো। তিনি আহত হলেন বাঘের থাবায় এবং কামড়ে।
এরই মধ্যে এসে হাজির হলেন রুপালীর মা।
তিনিও আহত হলেন বাঘের আক্রমণে কিন্তু টেনে মেয়েকে নিয়ে গেলেন ঘরের ভেতরে।
রুপালী মাথা, হাত, পা ও কোমরে আঘাত পেয়েছেন।
তবে তারপরও রক্তাক্ত মুখে একটি সেলফি তুলতে ছাড়েন নি।
তার মা জিজাবাই বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, “আমি ভেবেছিলাম মেয়ে বোধহয় আমার গেছে”
তিনি বলেন, রক্তাক্ত মুখে মেয়েকে লাঠি দিয়ে একটা বাঘের সাথে লড়তে দেখে আতঙ্কে তারও প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা হয়েছিলো।
মা মেয়েতে এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন ভালোই আছেন।
কিন্তু ছাগলটিকে অবশ্য প্রাণে বাঁচানো যায়নি।
আর বন বিভাগের লোকজন এসে পৌঁছানোর আগেই বাঘটিও জঙ্গলে উধাও হয়ে গেছে।