আসমা জান্নাত মনি:এমপি কেয়া চৌধুরী রবিবার সকাল সকাল নবীগঞ্জ উপজেলা শহরে পৌঁছান। শহরে পৌঁছামাত্রই দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। নেতাকর্মীদের উষ্ণ অর্ভ্যথনায় সিক্ত হন। স্থানে স্থানে গিয়ে তৃণমূল মানুষের কথা শ্রবণ করেন। পুরোদিন ব্যাপী নবীগঞ্জ মধ্যবাজার, পশ্চিম বাজার, ওসমানী রোডসহ বিভিন্ন স্থানে এ গণসংযোগকালে তৃণমূল মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমপি করে উন্নয়ন কাজ করার জন্য মাঠে পাঠিয়েছেন। আপনাদের সামনে আমি স্বাধ্যমতে চেষ্টা করে উন্নয়ন কাজ করছি। নির্বাচন আর বেশীদিন বাকী নেই। এ সময়ের মধ্যে বাকী উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা কঠিন।
তাই নবীগঞ্জ-বাহুবলের চলমান উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে আমি নির্বাচিত এমপি হতে চাই। এজন্য আপনাদের কাছে চাই দোয়া, সমর্থন ও ভোট। এসব পেলে আমি নির্বাচিত এমপি হতে পারবো।
এসব কথা শোনার পর তৃণমূল লোকেরা হাত তুলে তাকে সমর্থন করে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে জোরালো আহবান জানান।
এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। তাই কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করছি। তিনি বলেন, একটিবারের জন্য আমাকে এমপি নির্বাচিত করে দেখুন, আমি আপনাদের জন্য কি করি। যদিও আমি সংরক্ষিত আসনের এমপি, তারপরও ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলদ হোসেন কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজভী আহমেদ খালেদ, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী মোঃ মোজাহিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, হিন্দু, বদ্ধ্য, খীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুখেন্দু রায় বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মৃনাল কান্তি রায় মিনু বাবু, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সহিফা রহমান কাকলী, ৮নং সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুজ্জামন, ১নং পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সমর চন্দ্র দাশ, আওয়ামীলীগ নেতা ছালিক মিয়া, হিন্দু, বদ্ধ্য, খীষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা কালীপদ রায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক অধীর রায়, আওয়ামীলীগ নেতা আবু তাহের, বিশিষ্ট সমাজসেবক বিপুল ধর, ৭নং করগাওঁ বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ভানু লাল দাশ, তাতীলীগ নেতা ইমন, মেম্বার সাইদুর রহমান, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তৃণমূলের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।