সিলেট ৭১ নিউজ ডেস্ক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ডিগ্রী (পাস) প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষার ফরম সংগ্রহ নিয়ে ফরম বিতরন কমিঠির সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে ভাংচুর চালিয়েছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেলেও একটি মহল ঘটনাটিকে সম্পুর্ণ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জোর চেষ্ঠা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ডিগ্রী (পাস) ১ম বর্ষের (২০১৬-১৭) ফাইনাল পরিক্ষার্থীদের ফরম পূরন কার্যক্রম শুরু হয়। গতকাল শনিবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম তার চাচতো ভাইয়ের ফরম সংগ্রহের জন্য অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যান। এসময় তাকে ফরম দিতে অস্বীকৃতি জানান দায়িত্বরত শিক্ষকরা। একপর্যায়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে একজন শিক্ষক কামরুলকে চড় মারেন। তখন কামরুলের বন্ধুরা উত্তেজিত হয়ে অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর করে। ভাংচুরের খবর পেয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে ছুটে যান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রব বাবু। তিনি উপস্থিত হয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন ও অফিস থেকে বের করে নিয়ে আসেন।
তবে ঘটনার কিছুক্ষন পরে একটি মহল, ফ্রীতে ফরম ফিলাপ করতে না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বাবুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর করেছে বলে গুজব রটাতে শুরু করে।
কলেজ সভাপতি ইমরান হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের কেউ কেউ ছাত্রলীগ করে। তবে এর সাথে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। এটা তাদের ব্যাক্তিগত সমস্যা। আর সাধারন সম্পাদক পরে এসেছে এবং ছাত্রদের ধরাধরি করে শান্ত করেছে। এই ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ্ অরুণ চক্রবর্তী বলেন, আমি ঘটনার সময় কলেজে ছিলাম না। কারা ভাংচুর করেছে এই বিষয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না। আপাতত ফরম ফিলাপ চলবে। সভাপতি মহোদয় আসলে উনাকে সাথে নিয়ে আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিব।
এ বিষয়ে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুর রহমান জানান, পরিক্ষার ফরম ফিলাপ নিয়ে কিছু ছাত্র কলেজে ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
সুত্র:sylnews24.com