জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পাটনীপাড়া গ্রামে শিরণীর অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় নারী-পুরুষ ও শিশু সহ প্রায় ২৫জন আহত হয়েছেন। এসময় ৬টি বসতঘর ৫টি বৈদুতিক মিটার ও বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নজির মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, পাটলী গ্রামের সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০), মৃত আমীর আলীর ছেলে করিম আহমদ (৩৫), আতাউর রহমানের মেয়ে সাবিয়া বেগম (১৫), আলকাছ মিয়া (৬০), হাবিবুর রহমান (৬০), শফিক মিয়া, শাহাব উদ্দিন, রহিম, হাওয়ারুন বেগম, বেলাল আহমদ, জামাল, সেলিম উদ্দিন সহ আরে কয়েকজন। জৈন্তাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানার ওসি মাইনুল জাকির ঘটনাটর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আক্রান্তদের কাছ থেকে জানা যায়, পাটনীপাড়া ও পানিছড়া গ্রামবাসী তাদের একটি জলমহাল দুদু মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও সেলিম মিয়া গংদের ইজারা দেন। ইজারাগ্রহীতারা জলমহালটি সমজিয়া নিয়া শনিবার একটি শিরণীর আয়োজন করেন। শিরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাটনী পাড়া ও পানিছড়া গ্রামের লোকজন। শিরণী অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় নজির মিয়া মেম্বারের নেতৃত্বে ১৫/২০জন লোক উপস্থিত লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় ৬টি বসতঘর ভাংচুর ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার ও বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এতে ১৫/২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। আক্রান্তরা জানান, নজির মেম্বার বিল পরিচালনা করতে হলে তাকে বড় অংকের চাঁদা দিতে হবে বলে দাবি করেন। এতে অপরাগতা প্রকাশ করলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত লোকজনের অভিযোগ নজির মেম্বারের নেতৃত্বে শামীম, হানিফ, হারুন, মজিদ, নিপেন্দ্র, এম. আহমদ, হারুন, নিজাম, জয়নাল, নিপেশ, সাধু, আবুল, সুনাম, কয়ছর, ফয়ছল, আলতাফ সহ সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে নিরীহ লোকজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।