সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মালিকানধীন ১৬ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গোয়লী ছড়ার চালিবন্দর ও ছড়ারপার অংশের পার্শ্ববর্তী সিটি কর্পোরেশনের পানি নিষ্কাশনের খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছিলেন দখলদাররা। যে কারণে বন্দর বাজার, মহাজনপট্টি, কাষ্টঘর, চালিবন্দর সহ পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহের পানি নিষ্কাশনের মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ও ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিমের উপস্থিতে চালিবন্দর ও ছড়ারপার এলাকায় বেদখল হওয়ার খাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে সিসিকের জমির উপর ৩তলা ভবন সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। পরে অবৈধ স্থাপনার মালিকদের শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাছাড়া শুক্রবার সকাল থেকে এসব স্থানে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাছাড়া চালিবন্দর উমেশচন্দ্র নির্মলাবালা ছাত্রাবাসের পানি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড নিয়ে সৃষ্ট জাটিলতার কারণে ছাত্রাবাসের পানির সংযোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও ১৫্নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল আমিন বাকেরর উপস্থিতিতে ছাত্রাবাসের পানির সংযোগ প্রদানের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ সুশেন্দ্র কুমার পাল, বিমলেন্দু দে নান্টু, শিবব্রত ভৈমিক চন্দন, মনোজ বিকাশ দে রায়, বীরেন্দ্র সূত্র ধর, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, মো: জাহাঙ্গীর মিয়া, আব্দুল মুমিন মামুন, কামাল আহমদ, আবুল হোসেন জাকারিয়া প্রমুখ। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান সিসিক’র বেদখলকৃত জমি উদ্ধার হয়েছে। আজ সকালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা রয়েছে।