কুলাউড়া প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় প্রাক্তন প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার বর হামলা চালিয়েছে। হামলায় প্রেমিকের ভাই মুকিত আহমদ গুরুতর আহত হন। এসময় হামলাকারীরা তার বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। শনিবার (১১ নভেম্বর) ২০১৭ কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভুকশিমইল গ্রামে মোঃ আছকর আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাদে ভুকশাইল গ্রামের মোঃ আছকর আলীর চার পুত্র মোঃ আকুল মিয়া, মোঃ সাইফুল আলম সোনা আলী, মোঃ মুকিত আহমদ ও মোঃ মইয়ব আলী। সাইফুল আলম সোনা আলী ও তার পাশের বাড়ির রোকসানা আক্তার লাকীর ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। একে অন্যের সাথে হৃদয়ের লেনাদেনা দীর্ঘদিন চলে। ভালবাসার এ দুটি ফুল নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। দীর্ঘদিনে তাদের সম্পর্ক এতোটাই গভীর হয় যে একে অন্যকে ছাড়া থাকা কষ্ঠসাধ্য হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সাইফুল ও লাকীর প্রেমের সম্পর্ক লাকীর পরিবার জেনে যায়। পরে ২০১৪ সালের দিকে লাকির পরিবার একই উপজেলার ৭নং প্রতাবী গ্রামের মো. ইন্তাজ আলীর সাথে বিয়ে দেন রোকসানা আক্তার লাকীকে। প্রভাবশালীর স্বামী মো. ইন্তাজ আলী প্রবাসে গেলে লাকী আবারো সাইফুল এর সাথে ফোনালাপ ও যোগাযোগ করতে থাকে। প্রতিদিন ফোনে কথা বলায় স্বামীর বাড়ির সবাই জেনে যায় তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা। এক পর্যায়ে ইন্তাজ আলী তাদের সম্পর্ক জানতে পারলে তার বউ কে ভয় দেখিয়ে জোর করে সাইফুল আলমের উপর মিথ্যা মামলা দেয়। সাইফুল আলম সোনা আলী ও তার পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ইন্তাজ আলী। তার পরিবার ভয়ে থাকে কাতার পাঠিয়ে দেন। আবারও রোকসানা আক্তার সাইফুল আলম সোনা আলীর সাথে ফোনে প্রতিদিন যোগাযোগ করে। প্রভাবশালী ইন্তাজ আলী তাও শেষ দেয়নি। ইন্তাজ আলী জানতে পেরে ক্ষোভে ১১ নভেম্বর রাত ৮ ঘঠিকার সময় সাইফুল আলমের বাড়িতে ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে শনিবার এ হামলা করে। তার লালিত সন্ত্রাসী সুন্দর আলী, রকিব আলী, সিরাজুল ইসলাম, লকুছ মিয়া সহ অজ্ঞাত কয়েক সন্ত্রাসীরা তার বাড়ির আসবাবপত্র, দরজা- জানালা সহ ঘরের যন্ত্রপাতি ভাংচুর ও লুটপাঠ করে নিয়ে যায়। এসময় সাইফুল আলমের ভাই মুকিত আহমদ তাদের প্রতিরোধ করতে চাইলে হামলাকারীরা তার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। তার মাথায়, হাতে, মেরুদণ্ডে রোলার দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে সে মাটিয়ে লুঠে পড়লে হামলাকারীরা তাকে মৃত ভেবে চলে যায়।
জানা যায়, হামলার গডফাদার ইন্তাজ আলী লোকাল রাজনীতির সাথে জড়িত। কুলাউড়া লোকাল আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পরে সাইফুল আলম সোনা আলীর ছোট ভাই মুকিত আহমেদ কুলাউড়া থানায় মোঃ ইন্তাজ আলী ও তার ভাড়াঠে সন্ত্রাসীদের নামে জিডি করেন।