বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ‘লন্ডনী বধূর আত্মকথা’ গ্রন্থটি মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সিলেটের অন্যতম কৃতীসন্তান জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক ও অধ্যাপক ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন ‘লন্ডনী বধূর আত্মকথা’ গ্রন্থটির মুখবন্ধে বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা দিক নিয়েও আলোচনা করেন। গ্রন্থটির মুখবন্ধে তিনি আমাদের সাহিত্যের অমর সৃষ্টি চিন্তাগ্রস্থ মা তার সন্তানকে ঘুম পাড়ানির গানের দুটি লাইন উদ্ধিত্তি করেছেনঃ
ছেলে ঘুমাল পাড়া জুড়াল বর্গী এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।
ড. মোমেন আরও মনে করেন ৩৬০ আওয়লীয়ার স্মৃতি বিজড়িত পুণ্যভূমি সিলেটে একদিকে হযরত শাহজালাল (রাঃ) ইসলাম প্রচার করেছেন অন্যদিকে শ্রীচৈতন্য দেব প্রচার করেছেন বৈষবতত্ত্ব যা অসাম্প্রদায়িক সিলেটের পরিচয় বহন করে। ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মূল্যবান সম্পদ বলেও মনে করেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আশা করেন গ্রন্থটির বহুল প্রচার ও প্রসারে সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূর হবে।
উল্লেখ্য, ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ গ্রন্থটি লিখেছেন বৃহত্তর সিলেটের সুনামধন্য কবি, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিকার গোলশান আরা রুবী। কবি গোলশান আরা রুবী দীর্ঘ দিন যাবত ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে বসবাস করছেন। লন্ডনে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অসংলগ্নতার বিরুদ্ধে কাজ করে একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়তে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ গ্রন্থটি শুধু মাত্র তার একটি আতœজীবনীমুলক গ্রন্থ নয়, এতে রয়েছে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ জীবনে বহমান বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ। গ্রন্থটিতে বাংলাদেশের এবং ব্রিটেনের বাঙ্গালী সমাজ ও ব্যাক্তি জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ ফুটে উটেছে। ফলে, গ্রন্থটি হয়ে উটেছে বাস্তব সমাজ ব্যবস্থার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। এছাড়া, গ্র্রন্থটিতে বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ফুটে উটেছে।
কবি গোলশান আরা রুবী রচিত ‘লন্ডনী বধূর আতœকথা’ গ্রন্থটি চৈতন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যে, গ্রন্থটি দেশে বিদেশে পাঠকদের মধে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।