আদালতের স্থিতাবস্থা ও নগরীর গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত সালিশ কমিটিকে উপেক্ষা করে সওদাগরটুলার একটি বাসা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি নিজেও সালিশ কমিটির একজন সদস্য ও ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ও এলাকায় মুরব্বীয়ান সহ সকলের মাঝে অসন্তেুাষ দেখা দিয়েছে। ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ জানিয়েছেন, সালিশ মান্য করে সালিশের প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় একটি পক্ষ তাদের মত পাল্টিয়ে বিরোধপূর্ণ কমিটি দখল করে নেন। সালিশ কমিটির সদস্য ও ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে এই বাসাটি দখল করে নেওয়া হয়। উক্ত সালিশ কমিটির সভাপতি হিসেবে সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান রয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য একটি বিরোধ নিষ্পত্তি উদ্যোগকে নস্যাৎ করে সংঘাত আর উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দিয়েছেন উক্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা।
জানা যায়, শনিবার সকালে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে ভূমিদস্যুরা নগরীর সওদাগরটুলার ফজলুর রহমান সোনাই মিয়াদের স্বত্বদখলীয় বাসার কয়েকটি কক্ষ দখল করে নেয়। এসময় দখলদার বাহিনী প্রচুর দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করছিল বলে এলাকাবাসী জা নিয়েছেন।
জানা গেছে, শহরতলী মেজরটিলার মৃত আব্দুন নুরের পুত্র আব্দুল আহাদ শিমন নগরীর সওদাগর টুলার সোনাই মিয়াদের বাড়িতে কিছু স্বত্ব দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নেতৃত্বে একটি সালিশ কমিটিও গঠিত হয়। সিলেট কোতোয়ালী থানায় একাধিকবার জিডি হলে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তি রক্ষার্থে নোটিশও প্রদান করে। পাশপাশি বাড়ি নিয়ে একটি বাটোয়ারা মামলা থাকায় ভূমির উপর আদালতের স্থিতাবস্থাও রয়েছে। কিন্তু সিলেট নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন আইন আদালত ও মহানগর আওযামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নেতৃত্বাধীন সালিশ বের্ডের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। তিনি শনিবার সকালে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে সোনাই মিয়া ও হাবিবুর রহমানদের বাসায় সশস্ত্র হানা দেন। এ সময় আক্তার হোসেন নিজে বাসার কয়েকটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে নতুন করে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ব্যাপরে ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেনের মুটোফোনে (০১৭১১-১৮৪৭৯৫) যোগাযোগ করা হলে তিনি বাসা দখলে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই বাড়িতে আব্দুল আহাদ শিমন ও তার মা রহিমা বেগমের কিছু স্বত্ব রয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে সোনাই মিয়ারা তাদের তাড়িয়ে দিয়ে কয়েকটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রাখে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আমাকে নির্দেশ দিলে শনিবার পাড়ার লোকজনকে নিয়ে আমি নিজে ও আমার ভাই মোতাহের কক্ষের তালা খোলে শিমনদেরকে বাসার দখল বুঝিয়ে দেই।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, ওই বাসা নিয়ে পুলিশের ১৫৪ ধারায় নোটিশ এবং আদালতের স্থিতাবস্থা বিদ্যমান রয়েছে এবং ওর্য়্ডা আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন ও তার সহযোগীরা তা লংঘণ করে বাসার দখল অন্যকে বুঝিয়ে দেন।