সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চন্দরপুর যুব- সমাজের উদ্যেগে এবং ঐ এলাকার কৃতীসন্তান, যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক, শিক্ষানুরাগী, অত্র এলাকায় যেকোন উন্নয়নমুখী কাজের প্রথম সারীর অন্যতম দাতা-সৈনিক, গরীব- দুঃখী মানুষের প্রানের স্পন্দন, অন্যায়ের বিরূদ্ধে নির্দ্বিধায় একজন বলিষ্ঠ ও সাহসী মানব এবং জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামীলীগের নির্বিকার একজন মহান ত্যাগী নেতা ফলিক খান আবারও প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ আরেকটি সরকারী ভাঙা রাস্তা তিনি একক অর্থায়নে নতুন করে মেরামত কাজ শুরু করেছেন।
উক্ত ভাঙা জায়গাটি কটলী-পাড়া বসন্তপুর রাস্তার উপর চন্দরপুর বাজার সংলগ্ন বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর চৌমুহনী রাস্তা হিসেবে পরিচিত। চন্দরপুর বাজার সহ কয়েকটা কমার্শিয়াল বাজার রাস্তার সাথে সংযুক্ত চৌমোহনী পয়েন্ট থাকার কারনে অন্যান্য রাস্তা অনুপাতে উক্ত রাস্তাটি ট্রাফিক চলাচলে বেশীরভাগ সময় ব্যস্ত থাকে। প্রায় দুই (২)বছরের বেশী সময় থেকে, দিনের পর দিন উল্লেখিত জায়গাটি ভেঙে অসংখ্য ছোট ছোট গর্তে পরিত্যক্ত অবস্থায় আচ্ছন্ন ছিলো। যান চলাচল ও স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থী আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে রাস্তাটি একেবারেই অনুপযোগী ছিলো। উক্ত রাস্তাটি এতোই অনুপযোগী বা ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো, যে-কারনে প্রতি সপ্তাহে প্রায় দুই থেকে তিন তিনটা প্রাননাশীমুলক গাড়ী এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটে আসছিলো।
সরকারী ভাঙা রাস্তাটির মেরামত কাজ দেখে অত্র এলাকার উৎফুল্ল বাসিন্দারা অত্যান্ত আনন্দ ও প্রাণবন্ত স্বরে “ফলিক খান” ও “চন্দরপুর যুব-সমাজের নিবেদিত সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দুই (২)বছরের বেশী সময় থেকে অবহেলিত উক্ত ভাঙা রাস্তাটির মেরামত কাজ আজ সম্পন্ন হতে চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে, বিশেষ করে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীর অভিভাবকগন এখন থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এক্সিডেন্ট বা বিভিন্ন দুর্ঘটনার শঙ্খা থেকে মুক্তি পাবে। অনায়াসে বৃহত্তর এলাকার পথচারী ও যান চলাচল ঝুকিমুক্ত হবে এবং স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে সক্ষম হবে। উল্লেখ্য,ফলিক খানের একক অর্থায়নে ইতিপূর্বে আরো দুইটি বিশাল গর্তসম্পন্ন সরকারী ভাঙা রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। যাহা বিগত দু’সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রচার হয়ে আসছে।
জনস্বার্থে ফলিক খানের আর্থিক অনুদান, আকাশের মতো বিশাল আত্মা ও মহানুভবতায় আমরা এলাকাবাসী চিরকৃতজ্ঞ। আমরা সর্বক্ষেত্রে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এলাকার স্বার্থে বা দেশের স্বার্থে, এমনকি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোলাপগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের হাতকে আরোও শক্তিশালী করার নিমিত্ত্বে, নিরলস প্রচেষ্টা ও ভালোবাসা এবং এলাকার প্রতি তিনির এই সহানুভূতি আজীবন যেনো অটুঠ থাকে। আমরা এই প্রত্যাশাই রাখি। বৃহত্তর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ফলিক খানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।