এই শিল্পী বাউল গানকে খুব ভালোবাসেন, মধুর কন্ঠের অধিকারী এই শিল্পী,ছোট বেলা থেকে নিজে নিজে গুন গুনিয়ে গান গাইতো। বাবা মরহুম দুদু মিয়া-মা নূর জাহান বেগমের কোলে জন্ম গ্রহন করেন ১৯৭০ সালে বাউল আবুল কালাম,তার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বারোবাজারে,পরিবারের বড় ছেলে তিনি,দরিদ্র বাবার সন্তান হিসেবে অভাবের তারনায় ছোট বেলা থেকে বাবার সাথে ৩৬০ আউলীয়ার পূর্ণভূমি সিলেটে আসেন,দিন মজুর বাবা বিভিন্ন কাজ করতেন, কোনো ভাবে খেয়ে না খেয়ে পরিবার চলতো, মাঝে মাঝে সেও বাবার সাথে কাজ করতো। একদিন সিলেটের সেই সময়ের জনপ্রিয় বাউল ফিরোজ মিয়ার দেখা পেলেন কালাম, এবং ফিরোজ মিয়াকে বলেন, আমি আপনার সাথে থেকে গান শিখতে চাই,তখন থেকেই ফিরোজ মিয়ার সাথে মাঝে মাঝে হারমোনিয়াম কাঁদে নিয়ে গানে যেতেন এই বাউল আবুল কালাম,দিনে বাবার সাথে কাজ করতেন, আর মাঝে মাঝে গানে যেতেন। এভাবেই তার গানের ভুবন শুরু হল,
এরই মধ্যে প্রায় ২০ বছর বয়সে একটি বিয়ে করেন, বছর খানিক পরে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়,সব মিলিয়ে খুবই কষ্টে তাদের দিন চলছিলো,পাশাপাশি গানের প্রতি আগ্রহ থাকায় মোটামুটি ওস্তাদ ফিরোজ মিয়ার সাথে বাউল মঞ্চে প্রোগ্রামে গিয়ে একটি দুটি গান গাইতেন,এতে কিছু টাকা পেলেও কষ্টে চলতো তার সংসার।ঘর ভাড়া সহ এই টুকু টাকায় খরচ চলতো না,এরই মধ্যে ২য় বিয়েতে আবদ্ধ হন। ১৯৯৬ সালে বি.বাড়িয়ার শাহাতি এলাকার দুদু আহমেদের মেয়ে ফাতেমা বেগম রুনার সঙ্গে,এর পর থেকে সংসারে আরো অভাব দেখা দেয়। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সব মিলিয়ে এভাবেই দিনের পর দিন বছরের পর বছর সংসারের চাকা চলে।এদিকে
চার সন্তানের জনক হন বাউল আবুল কালাম,বড় মেয়ে রহিমা রুহী বয়স প্রায় ১৯, ২য় ছেলে ইমন (১৮),ও ৩য় ছেলে লিমন, এবং ছোট মেয়ে রিমা,বড় মেয়ে বাউল শিল্পী রহিমা রুহী কে ছোট বেলা থেকেই গান শিক্ষা দেয়া শুরু করেন, কয়েক বৎসর যাবত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করে আসছেন রুহী,এদিকে বাউল কালাম গান গাওয়া ছেরে দিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে, গায়ে হলুদ,ঘরোয়াসহ সব ধরণের প্রোগ্রামে যান,প্রোগ্রামে বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় হয়, মেয়ে সুন্দর গান আর মিষ্টি মধু কথা বার্তায় ও মিটি মিটি হাসিতে মুগ্ধ হয়ে ভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন বা এখন করছেন গীতিকার, অনেক প্রবাসী বক্তরা সহ গান প্রিয় ব্যাক্তিরা, এ নিয়ে অনেক সময় অনেক ঝামেলাও হয়েছে। যাই হোক বর্তমানে কালামের পরিবার চলছে মেয়ে রুজগারের টাকা দিয়ে,মাঝে মধ্যে বাউল কালাম কির্বোড বাজান, অবশেষে মেয়েটি সংসারের অভাব দূর করতে সক্ষম হয়েছে,বাউল কালাম এখন আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্চেন, দুঃখের পরে সুখ এসেছে বলে মেয়ের রুজির টাকা দিয়ে মদও পান করছেন দিনের পর দিন,প্রায় সময় বাসায় গান বক্তদের নিয়ে গানে আড্ডায় বসেন, এক কথায় বাসা ভাড়া খাওয়া দাওয়া সহ বিলাসিতার আর কোনো অভাব নেই, কোনো চিন্তা করতে হয়না আবুল কালামকে, মেয়ের রুজীতেই চলছে সব।যদিও আবুল কালামের ২য় ছেলে ঢুল বাদক সে পরিবারের দিকে নেই, কারণটা বলবো কেন নেই,কালামের ছেলে এবং মেয়ে গানের ভুবনের বিশাল জীবনী ও বিভিন্ন তথ্য বূতিক নিউজ নিয়ে আসছি অপেক্ষায় থাকুন,সাথে আবুল কালামের ও আর কিছু তথ্য থাকবে।দুঃখ জনক হলেও এটাই সত্য এই আবুল কালাম এক সময় তার বাবা মা এমনকি নিজের পেটের খোদা মিটানোর জন্য টাকা পায়নি, আর আজ মেয়ের টাকায় মদ খেয়ে ফুর্তি করে চলছে, বাসায় ফিরেন শেষ রাএিতে।এ বিষয়ে বাসার মালিকের সাথে কথা বললে সত্যতা শিকার করে বলেন আমার বাসা থেকে এদের বিদায় দিবো, কিন্তু কোথায় কয়েক মাস যাবত বিদায় দিতে দেখা যায়নি, এই বাসাতে অনেক বিষয় নিয়ে বাইরের মানুষের সাথে বড় বড় ঝামেলা হয়েছে, কালামের বাসার মালিক এখনও নিরব কেনো,যাই হোক এই সব কিছু কিছু বাউল শিল্পীদের বাজে বাজে কাজের জন্য আমাদের সিলেটের ঐতিহ্য অহংকার বাউল গান কলংকিত হচ্ছে,ধংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।আপনাদের জানা উচিত
সিলেটে যুগ যুগ ধরে একের পর এক গুনীজন জন্ম নিয়েছেন। হাসন রাজা, দূর্বীন শাহ, শাহ আব্দুল করিম, আরকুম শাহ, রাধারমন’ এর মত গুনী লেখক, কবি বাউলরা।
শতবছর ধরে একের পর এক বাউল গান সৃষ্টি ও পরিবেশন করে সিলেটসহ দেশের সম্মান বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল করে রেখেছেন।চোখ মেললেই আকাঁশের চাঁদের মত ঝকঝকে পরিষ্কার দেখতে পারি সিলেটের অনেক অমর গুনী গীতিকারদের গান গেয়ে আমাদের দেশ সহ বিদেশে জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জম্ম নেয়া আমাদের প্রিয় সন্তানরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ আমাদের সিলেটে
কিছু বাউল শিল্পীরা আমাদের প্রাণের বাউল গান, আমাদের সম্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিচ্ছেন,আমাদের এই বাউল সম্পদ আমরা কোনো ভাবে নষ্ঠ হতে দিবো না,যারা বাউল নাম লাগিয়ে ভিন্ন ভাবে মানুষকে শুষে খাচ্ছেন,তাদের আমরা সিলেটের সচেতন নাগরিকরা ছেড়ে দিবো না। বাউল নাম লাগিয়ে কিছু নারী, পুরুষ, ছেলে-মেয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন,তাদের হুশিয়ারি করছি এসব ছেরে আমাদের প্রাণের বাউল সম্পদ রক্ষার দিকে এগিয়ে আসুন।