ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেট সদর উপজেলায় একটি বসত বাড়ির ভূমি দখলের চেষ্ঠার অভিযোগে ৯ জনের নামোল্লেখ করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গত শনিবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ শাহি ঈদগাহ ৪৭/এ অনামিকার বাসিন্দা মৃত অ্যাডভোকেট প্রানেশ চন্দ্র চৌধুরীর পুত্র পার্থসারথি চৌধুরী এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত বিবাদীরা হলেন, মৃত সুধীর দাসের পুত্র সত্যব্রত দাস লিটন, মৃত সুরেশ চন্দ্র দের পুত্র মনিন্দ্র কুমার দে, মৃত ক্ষিতিন্দ্র মোহন রায়ের পুত্র দেবব্রত রায় দীপন, মৃত নিরঞ্জন ঘোষের পুত্র শেখর ঘোষ, সত্যব্রত দাস লিটনের স্ত্রী রুপালী দাস, খোকা দাস, মনিন্দ্র দের স্ত্রী বাবলী রানী দে (কাউন্সিলর দিবা রানী দে বাবলী), মৃত হর্যনাথ মন্ডলের পুত্র বিপুল মন্ডল, মৃত হরেন্দ্র চক্রবর্তীর পুত্র হারান চক্রবর্তী। অভিযোগে বলা হয়, সিলেটের সদর উপজেলার মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জে.এল নম্বর-৯১, খতিয়ান নম্বর ১৭৯৬, নামজারী ৫১৩৫ খতিয়ান, দাগ নম্বর ১১১৬০ এবং মোয়াজী .০৭ একর বসত বাড়ির ভূমিতে অভিযোগকারী পার্থসারথি চৌধুরীর মাতা ডলি রানী চৌধুরী ১৯৯৮ ইংরেজির ২০২৩ নম্বর রেজি. দলিল মূলে মলিক হিসেবে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু বিবাদীরা একে অন্যের সহযোগীতায় অবৈধ ও জাল কাগজ বানিয়ে ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে দখলের চেষ্ঠা করেন। এব্যাপারে ডলি রানী চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মৃত সুধীর দাসের পুত্র সত্যব্রত দাস লিটন, মৃত নিরঞ্জন ঘোষের পুত্র শেখর ঘোষকে এক বছর করে সাজাও প্রদান করেন আদালত। কিন্তু উক্ত আসামিরা জামিনে বের হয়ে আবারও পূর্ব পরিকল্পীতভাবে গত শুক্রবার রাতে ১০-১৫জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীসহ বিবাদীরা জায়গা দখল করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। এ অবস্থায় জাগয়া দখল ও আত্মসাত করে যে-কোনো সময় ভূমিখেকো চক্র পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ ক্ষতি সাধন করতে পারে উল্লেখ করে পার্থসারথি চৌধুরী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বার্তা প্রেরক পার্থসারথি চৌধুরী শাহি ঈদগাহ ৪৭/এ অনামিকা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, সিসিক।