মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশী বাঁধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা কোর্ট পয়েন্টে জোড় হতে থাকলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌছ হোসেন এসে নেতা কর্মীদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ শুরু করেন। গৌছ’র উদ্ভুদ্ধ পূর্ণ আচরণ সিলেটের রাজনীতির জন্য অশুভ সংকেত উল্লেখ করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের এই কর্মকর্তার আচরনে মনে হয়েছে আমরা পুলিশী রাষ্ট্রে বসবাস করছি। দেশে সর্বত্র যখন দাড়িয়ে বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবি, শ্রমজীবি ও ছাত্র সংগঠন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে পুলিশ সেখানেই বাঁধা প্রদান করছে। শান্তিপূর্ণ কমূসূচি গুলোতে পুলিশী বাধার নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পুলিশের স্বৈরাচারী আচরণ ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে বর্বরোচিত মুসলিম হত্যা মায়ানমারে চলছে। খুন, ধর্ষণ, জ্বালানো-পোড়ানো, নির্বিচারে গণহত্যা সহ সর্বপ্রকারে জুলুম নিপীড়ন চলছে। তারা জাতিগত বিদ্বেষের কারণে নির্বিচারে মুসলিম হত্যা করছে। এই সকল ঘটনাকে নিন্দা জানানোর জন্য যখন বিএনপি কর্মসূচি ঘোষনা করেছে সেই কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করা মানে হচ্ছে মিয়ানমারে সকল অপর্কমকে সমর্থন করা। পুলিশের এই কর্মকর্তা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে প্রমাণ করলেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও বর্বরোচিত নির্যাতন তিনি সমর্থন করেন। এধরনের বাধা প্রদানের বিচার জনতার আদালতে করা হবে ইনশাআল্লাহ।