আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে দুটি মামলায় ভারতের হরিয়ানার কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬/৫০৬ ধারায় তাঁকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
আজ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলে অভিহিত করে আদালতে সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে, আদালতে গুরমিতের আইনজীবী গুরমিত রাম রহিমকে একজন সমাজসেবক ও তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেন বলে দাবি করে তার কম সাজা দেয়ার দাবি জানান।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ) ও ৫০৬ ধারায় (ভয় দেখিয়ে অপরাধ) এবং ৫১১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হন গুরমিত। আজ আদালতের রায় ঘোষণার পর হরিয়ানার পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকে বসেন।
আজ সকালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বিশেষ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আজ সকাল থেকেই পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে।
সুনারিয়া কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২৩ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
গত শুক্রবার ধর্ষণের মামলায় গুরমিত রাম রহিম সিংকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। ওই ঘটনার জেরে তার সমর্থকরা যে সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছিল, তাতে ৩৮ জন নিহত হয়।
গতকাল রোববার পর্যন্ত পুলিশ এ ব্যাপারে ৯২৬ জনকে গ্রেফতার করে। আজ সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য স্পর্শকাতর এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে সড়কে যানবাহন তল্লাশি চালানোসহ বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাঙ্কার নির্মাণ করা হয়।