সিলেট ৭১ নিউজ ডেস্ক:গতকাল সোমবারও ফাঁকা হয়ে যাওয়া ক্যাম্পে দেখা গেলো একদল হজযাত্রীদের।প্রতারণার শিকার হয়ে হজে যেতে না পেরে আশকোনার হজক্যাম্পে এসে অঝোরে কাঁদছেন ৮১ জন হজযাত্রী।হজ ফ্লাইট শেষ হয়ে গেছে রোববার দিবাগত মধ্যরাতেই। হজক্যাম্পে নেই দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাও।
এদের একজন স্কুলশিক্ষক বাড়ি রংপুর। চাকরি জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে হজে যাবার নিয়ত করেন তিনি। টাকা-পয়সা জোগাড় করে ৩ লাখ টাকা তুলে দেন ইকো ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের এক মালিকের হাতে। হজ ফ্লাইটের কথা বলে গত ১৫ আগস্ট তাকে নিয়ে আসা হয় হজক্যাম্পে। এরপর টানা ১২ দিন কেটে গেলেও তাকে আর হজে পাঠানো হয়নি।তিনি বলেন, আমি এখন কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। হজ অফিসও ফাঁকা। চাকরি জীবনের সঞ্চিত সব টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে দালালচক্র।
কুড়িগ্রামের অলিপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করতেন এক নারী । তিনি সাউথ এশিয়ান ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজে যাওয়ার জন্য জমা দিয়েছেন সোয়া ৩ লাখ টাকা। ট্রাভেলসের মালিক এখন লাপাত্তা।প্রতারণার শিকার হয়ে হজে যেতে না পেরে কাঁদছেন হজ যাত্রীরা। আল সাফা ট্রাভেলসের ১৬ জনের টিকিট নেই বলে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি তাদের।
ওলামা আউলিয়া ট্রাভেলসের ৭ জনেরও একই দশা।হজক্যাম্পে থাকা প্রতারণার শিকার এই ৮১ জন হজযাত্রীর মধ্যে আল মদিনা ইনারন্যাশনাল,সায়েদ আলী ইন্টারন্যাশনাল, আর বালাদ ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রভৃতি এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে টা্কা জমা দিয়েছিলেন।
হজযাত্রীদের দেখতে আসেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।এব্যাপারে তিনি বলেন, আটকে পড়া ৮১ হজযাত্রীকে আজ রাতের সৌদি এয়ারলাইন্সের নিয়মিত ফ্লাইটে পাঠানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।এতে আগের বছরগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নিয়ম করেছিলাম উড়োজাহাজের ভাড়ার টাকা এজেন্সির কাছে থাকবে না, ব্যাংকে জমা হবে। কিছু ব্যাংকের এ বিষয়ে গাফলতি ছিল। আমরা সমাধান করেছি বলেও জানান তিনি।