চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বলেছেন, ‘ন্যায় বিচারের স্বার্থে গ্রাম্য শালিসে একজন করে পুলিশ অফিসার দেয়া হবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির কর্মকর্তাগণকে রাখবো, যাতে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পান।’
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রামের ছোট-খাটো বিষয়গুলো নিয়ে মানুষ পুলিশের কাছে চলে আসে। আগে দেখতাম প্রামের পাঞ্চায়েত ও মুরব্বীরা শালিস করতো। এখন আর সে মুরব্বীদের শালিস হারিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ আছে চেয়ারম্যান-মেম্বারের সালিশ মানছে না।’
তিনি আরো বলেন, আমি গ্রামে বসবাস করেছি, বড় হয়েছি, কখোনো এসব ব্যাপারে পুলিশ দেখিনি। এখন মানুষ একদম গ্রাম থেকে এসে পুলিশের সেবা নিচ্ছে। আমি চাই এর সাথে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিকে সমঝোতা করতে।
এসপি বলেন, বাংলাদেশে যদি কোনো শক্তি শালী সংগঠন থেকে থাকে তা হলো কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি। সরকারের তরপ থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এখন এ সংগঠন। কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠনে যারা অবশ্যই থাকবে নিয়মিত মাসিক অনুদান দিতে হবে। আমরা চাই যোগ্য নিরপেক্ষ ব্যাক্তি কমিউনিটি পুলিশিং দায়িত্বে থাকুক। কেননা পুলিশের মধ্য যেমন দলমত নাই। তেমনি কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির মধ্যেও দলমত নাই। সবার জন্য দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত (প্রশাসন ও অপরাধ) পুলিশ সুপার ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির প্রধান সম্বনয়ক মো. মিজানুর রহমান, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. একিউ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক সূফি খায়রুল আলম খোকন ও দপ্তর সম্পাদক হাফেজ আহমেদ, চাঁদপুুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও সদর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির প্রধান সম্বনয়ক মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি, চাঁদপুুর মডেল থানার কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার (সিপিও) মোঃ হারুনুর রশিদ, পৌর কমিউনিটি পুলিশিং সম্বনয় কমিটির সভাপতি শেখ মনির হোসেন বাবুল।
চাঁদপুুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ জিন্নাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মৃধা।