আবুল হোসেন : আধ্যত্মিক রাজধানী সিলেট নগরীতে পতিতাবিরোধী আইওয়াশ অভিযান মাঝে মধ্যে হলেও সময়ের ব্যবধানে এর সিষ্টেম কিছুটা পরিবর্তন হয়। কিছুদিন আগে নগরীর সুনামগঞ্জ হোটেলসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলোতে অভিযান করে নামেমাত্র কয়েকজন পতিতা ও খদ্দের আটক করলেও অভিযানে মুল হোতা কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মুল হোতাদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অসাধূ চক্র।
ইদানিং আবারো হযরত শাহজালাল,শাহপরান (র)এর পবিত্র নগরীতে দেহব্যবসা চলছে ওপেন সিক্রেট ।
প্রত্যক্ষ দর্শীদের মতে, বিভিন্ন আবাসিক হোটেল,মেসের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সমানতালে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিক ও দালালরা।মাঝে মধ্যে আইন শূংখলা বাহিনি অভিযান পরিচালনা করে পতিতাদের আটক করলেও মালিক দালালদের আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা।
সম্প্রতি সিলেট মহানগরির সর্ব বূহৎ অসামাজিকতার আস্তানা ৩৬০আউলিয়ার অন্যতম সফর সংগী হযরত শাহচট (রহঃ)এর মাজার ও মসজিদের পাশে সোনালী মেসের আড়ালে ওপেন সিক্রেট চলছে দেহব্যবসা এদিকে সুনামগঞ্জ হোটেলে দেহব্যবসার পাশাপাশি মদ গাজার আসর। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে পতিতাদের আটকের পর একদিন বন্ধ থাকার পর পুরোদমে লাভজনক এব্যবসা চালছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, লালদীঘির পার সুনামগঞ্জ আবাসিক হোটেল এ জনৈক রাসেল দীর্ঘদিন থেকে হোটেলে পাপরাজ্যে পরিনত করেছে।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে রাসেল দম্ভ করে বলে আমার হোটেলে অভিযান দেবে কে? সবাইকে খুশি করেই আমরা নিরাপদে এ ব্যবসা করছি। পবিত্র নগরীতে তাও আবার মসজিদের পাশে মালিকানাধীন হোটেলে কিভাবে পাপরাজ্য গড়ে উঠেছে তা ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে।এছাড়াও জিন্দাবাজার,বন্দর বাজার আম্বরখানা ,কাজলশাহ, দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল মেসের আড়ালে চলছে দেহব্যবসা।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি ডিসি বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে, আমরা মুল হোতাদের আটকের চেষ্টা করছি।’
এদিকে, আবাসিক হোটেল গুলোর আশপাশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতা স্বার্থক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। তাদের মতে, পতিতা বৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যুব সমাজ ভয়ানক পথে পা বাড়াবে। ফলে ছিনতাই,নেশাগ্রস্থ হয়ে জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। এতে মরণ ব্যাধি এইডসসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে গোটা সিলেট।