নবীগঞ্জ উপজেলায় পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাটে-বাজারে সর্বত্র পলিথিন ব্যাগের বেচাকেনা চলছে প্রকাশ্যে। পরিবেশবিদগণ বলছেন, প্রচলিত এসব নিষিদ্ধ পলিথিন সামগ্রী স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, পলিথিন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, মাটির উর্বরা শক্তি কমায়, ড্রেন ও খালে জ্বলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।
নবীগঞ্জে প্রকাশ্যে পলিথিন বিক্রি হয় অথচ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। সর্বদিক বিবেচনা করেই বিগত বিএনপি সরকার গত ২০০২ইং সনের ১লা জানুয়ারি ঢাকায় এবং ১লা মার্চ থেকে সারা দেশে পলিথিনের উৎপাদন, বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। পরিবেশ সংরক্ষন আইন (সংশোধিত) ২০০২ অনুযায়ী, এ আইন অমান্য করলে ১০বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। অথচ এ আইনকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ব পলিথিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর, আউশকান্দি, এনায়েতগঞ্জ, বাংলাবাজার, গোপলারবাজার, ইমামবাড়ী বাজার, রসুূলগঞ্জ বাজার সহ সব বাজারগুলোতেই নিষিদ্ধ পলিথিনের বেচাকেনা ও ব্যবহার চলছে অবাধে। উপজেলা সদরের সামন্তস্বরনী ও মধ্যবাজারের অনেক দোকান গুলোতে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত রাজধানী ঢাকা শহরেই পলিথিন উৎপাদিত হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম আতাউর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তাজিনা সারোয়ার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অচিরেই আমরা এব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।