ডেস্ক: ঢাকায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার সুড়িগাও গ্রামের শাহেদ মিয়া নিহতের মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মুগদা থানা পুলিশ। গত ২৩ জুলাই রোববার বিকালে মুগদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বাটিপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র আনোয়ার ও সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন লাউয়াই গ্রামের হাজী সোহরাব হোসেনের পুত্র আশরাফ। বাকী চার আসামী এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। পলাতক আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন মোহাম্মদপুর সুড়িগাও গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শাহিন, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন দিঘলী গ্রামের চয়ন, সিলেট জেলার মোঘলাবাজার থানার আব্দুল করিমের পুত্র আমিন, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন মোহাম্মদপুর সুড়িগাও গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র জসিম উদ্দিন।
শাহেদ মিয়া নিহতের পর তার ভাই মোঃ শামীম মিয়া বাদি হয়ে গত ২৩ জুলাই শনিবার মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৩৪, তারিখ ২৩-০৭-২০১৭ইং।
মামলার এজাহারে জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা আদম বেপারী। তারা লোকজনকে দেশ থেকে বিদেশে নেওয়ার নাম করে পাচার করে। একেক জনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্র। তারই শিকার হন নিহত শাহেদ মিয়া। তাকে স্পেনে নেওয়ার নাম করে গত দেড় বছর ধরে ২ লাখ টাকা নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ঐ আদম বেপারী চক্র। সর্বশেষ গত ২২ জুলাই শাহেদ মিয়ার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দেয় আসামী শাহিন। ফোন দিয়ে জানায় শাহেদ মিয়া এখন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতাল বেডে শুয়ে আছেন। আসামী শাহিন নিহত শাহেদের পাশে বসে একটি সেলফি তুলেও দেয় তখন। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহীন মোবাইল ফোনে নিহত শাহেদের পিতা ইউপি সদস্য আখলিছ মিয়াকে জানায় তার ছেলে মারা গেছে। নিহতের লাশ মুগদা থানা হেফাজতে রাখা আছে। পরদিন ২৩ জুলাই দুপুর ১২টায় মুগদা থানা হেফাজতে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের স্বজনরা। এসময় নিহত শাহেদের কানে প্রচুর রক্তকরণ ও মাথার পেছন দিকে রক্তাক্ত গুরুতর জখম দেখা যায়।
মামলার বাদি নিহতের ছোট ভাই শামীম মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ভাই শাহেদ মিয়াকে মারা হয়েছে। আসামীগণদের সাথে স্পেন যাওয়ার ব্যাপারে কথা বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামীরা শাহেদ মিয়াকে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে এবং কানে আঘাত সহ সারা শরীরে আঘাত করে তাকে মেরে ফেলে এমনটাই ধারণা করে তিনি। পরে লাশ মুগদা থানাধীন ব্যাংক কলুনির মসজিদের নিকট ১/৩৫নং বাসার খালি প্লেটে রেখে যায়। পরে তাকে মুগদা থানা পুলিশ লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
রাজধানীর মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ এনামূল হক মামলার সত্যতা স্বীকার করেন এবং দুই আসামী গ্রেফতারের বিয়ষটিও নিশ্চিত করেন তিনি।