খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে নোয়াখালী জেলা শহরের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন নোয়াখালী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার এর ৩২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বুধবার সকালে গুরুতর অসুস্থ ২৭ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের সকলেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডায়রিয়া আক্রান্তরা সকলেই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ১ম বর্ষের ছাত্রী।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীরা জানায় মঙলবার রাতে তারা তাদের ডাইনিংয়ে মাছ দিয়ে রান্না করা খাবার খায়। এরপর থেকে তাদের পেটে ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২৭ শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম জানান, রাতে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত ২৭জন অসুস্থ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক ছিল।
তবে বর্তমানে তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে।তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুর বা রাতে বাহিরের কোনো খাবার খাওয়ার কারণে তাদের পেটে সমস্যা/ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নার্সিং ইনস্টিটিটের ইনচার্জ বেবী সুলতানা জানান, রাতে ১ম বর্ষের কয়েকজন ছাত্রী পেটে ব্যাথা ও বমি করার কথা জানালে তিনি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। সকাল নাগাদ ২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এরা সকলেই ১ম বর্ষের ছাত্রী, এখানে আরও ৬টি ব্যাচের ছাত্রী বসবাস করে। সকলের খাবার একই পাচক রান্না করে থাকেন। তবে শুধু প্রথম ব্যাচের ছাত্রীরা অসুস্থ হওয়ায় তিনি ধারনা করছেন বাইরের কোনো খাবার খাওয়ায় এমনটি হয়ে থাকতে পারে। ’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতারে তত্বাবধায়ক ডাক্তার সামসুল করিম জানান, হঠাৎ এতো ছাত্রছাত্রী কেন একসঙ্গে অসুস্থ হলো তা খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার সালাউদ্দিন মামুন চৌধুরীকে। সদস্যরা হচ্ছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মহিউদ্দিন আজিম ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সেবা উপ তত্বাবধায়ক নাজমুন নাহার।