গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি। ঘর থেকে ঘর, বাড়ি থেকে বাড়ি, পাড়া থেকে পাড়া নৌকাই চলাচলের একমাত্র ভরসা। পানির মৌসুমের সময় শেষ দিকে চলে এলেও ঐসব এলাকার মানুষ জন এখনও পানিবন্দি।
এসব এলাকার মানুষের জন্য আদিকাল থেকে নির্ধারিত রয়েছে, ‘র্বষায় নাও-হেমন্তে পাও’। পানিবন্দি গ্রাম গুলো হলো-রুস্তমপুর ইউনিয়নের বীরমঙ্গল হাওর, টেকানাগুল, ইটাচকি,গোজাকান্দি, পাতলিকোনা, ঝাড়িখালকান্দি,তোয়াকুল ইউনিয়নের লক্ষীনগর,পূর্ব পেকেরখাল,মেউয়ারকান্দি, ঘোড়ামারা, জামলাকান্দি,লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সিটিংবাড়ি,লেঙ্গুড়াহাওর, আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইদারহাওর, ডৌবাড়ি ইউনিয়নের সাতকুড়িকান্দি, ডাকাতিকান্দি, নিহাইন এবং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীকান্দি,কচুয়ারপার, চলিতাবাড়ি, শিয়ালাহাওর, বাইমারপার,লক্ষীহাওর, ও বেতকোনা সহ গোয়াইনঘাট উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রাম।
পানিবন্দি এসব গ্রামের অধিবাসিদের দেখতে পরিদর্শন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী। পানিবন্দি চৌধুরীকান্দি গ্রামের মন্টু নমসুদ্র, আনা মিয়া, বাইমারপার গ্রামের জীন্নত আলী, চলিতাবাড়ির গ্রামের তাহির আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে কাছে পেয়ে তাদের নানা সমস্যা সর্ম্পকে অবহিত করেন। তারা বলেন, ‘র্দীঘ ৭/৮ মাস আমরা নৌকা ছাড়া অচল থাকি। পানি সরিয়ে যাওয়ার পর পা’ই আমাদের ভরসা হয়।’
পরিদর্শনকালে এসব পানিবন্দি মানুষের নানা সমস্যা, অভাব, অভিযোগের বিষয়টি মনযোগ সহকারে শ্রবণ করেন চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী। তিনি এসব সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য কাজ করার আশ্বাস দেন।