তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেটের রাজনীতিতে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়। ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী গ্রহণ উপলক্ষ্যে গুলশান সেন্টারে আয়োজিত সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের কর্মীসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সিলেট আওয়ামী লীগ কে নেতৃত্ব শূণ্য করে তুলতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মনে করেন। এই হামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম আলী নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আহত হন অনেক নেতাকর্মী। আজো যারা গ্রেনেডের ¯িপ্রন্টার দেহে নিয়ে ভয়ানক স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। মানুষ মেরে বা গুরুতর আহত করে ক্লান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর আওয়ামীলীগের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও বিশ্বস্থ নেতা এস এম নুনু মিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জড়িয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তৎকালীন জোট সরকারের প্রভাবশালীরা একটি পরিকল্পিত নাটক সাজিয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় এস এম নুনু মিয়াকে আসামী করেন। অথচ এসএম নুনু মিয়া ঘটনাটি সম্পর্কে স্বপ্নেও কিছু জানেন না। এস এম নুনু মিয়া যখন আওয়ামী লীগের হতাহত নেতাকর্মীদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই মূহুর্তে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে নিক্ষেপ করা হয়। জোট সরকারের মদদে জয়েন্ট ইন্টার নেশন সেলে নিয়ে তাকে তথ্য উদ্ধারের নামে ভয়ানক নির্যাতন করা হয়। ৯ দিন রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক জুলুম অত্যাচার করা হয়। নুনু মিয়া জানান, শুধু যে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে এসব করা হয়, তাই নয় তৎকালীন বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাকে আঘাত করে। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে ছিলো এস এম নুনু মিয়াকে ধবংস করে দিয়ে তারা তাদের ফায়দা হাসিল করবে। কিন্তু সত্যের মৃত্যু নেই। একদিন দেশ ও জাতির কাছে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। মহামান্য আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আবার সবার মাঝে ফিরে এলেন আওয়ামী পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু এস এম নুনু মিয়া। সেদিনের সেই নির্মমতার স্মৃতিচারন করিতে গিয়ে নুনু মিয়া বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। নিজের মেধা শ্রম আর আন্তরিকতা দিয়ে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সিলেটের কৃতি সন্তান সকলের অভিভাবক বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের স্নেহ ভালবাসা নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।