প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। যেটি উভয়ের জন্য লাভজনক।
তিনি বলেন, ইইউ অ্যাম্বাসেডরও বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। বাংলাদেশে বাণিজ্য পরিবেশে উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইইউ বিজনেস ডায়ালগ প্রক্রিয়ার প্রশংসাও করেন।
পিয়েরে মায়েদুন বাংলাদেশের শ্রম আইন ও ইপিজেড-এর খসড়া আইন আরো পর্যলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্টের প্রশংসা করেন। শ্রম অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সফলতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকারের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গঠনের প্রধান লক্ষ্য ছিল শ্রমিক ও মেহনতি অধিকার আদায় করা।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৈরি পোষাক শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।