আবুল হোসেন : প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা এখন পর্যটন বিশ্বেও একট পরিচিত নাম। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী থেকে পাথর আহরণ করায় ভারত থেকে নেমে আসা পিয়াইন নদী তার নিজস্ব গতিপথ হারাতে চলেছে। ফলে দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটন প্রেমীরা জাফলং বিমুখ হতে শুরু করেছেন। পরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন ও গোয়াইনঘাটে বিদ্যমান সকল পর্যটন কেন্দ্র পরিচালনা করলে গোয়াইনঘাটের আয়ের মাধ্যমে সিলেট জেলার চেহারা পাল্টেদেয়া সম্ভব।
সারকারি উদ্যোগ না থাকায় প্রতি বছর সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের প্রথম সারির পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের এ উপজেলায় বিদ্যমান থাকার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক গোয়াইনঘাটে ভ্রমন করতে আসেন। সুষ্ঠ পরিকল্পনা ও অব্যবস্থপনায় দেশ বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার পর্যটকের নিকট থেকে সরকার কোন ভাবে উপকৃত হচ্ছে না।
দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলং। এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ মিঠা জলে গড়ে উঠা রাতারগুল জলারবন, সাত পাহাড়ের গহীনে পাথরের উপর দিয়ে বহমান ঝর্ণা বিছনাকান্দি ও ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের হাজার ফুট উঁচু থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলরাশি পান্তুমাই, ইতিমধ্যে দেশের পর্যটন প্রেমী ছাড়া ও বহির বিশ্বে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরেছে। ফলে দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকের পদচারনায় প্রতিনিয়ত মুখরিত হচ্ছে গোয়াইনঘাটের ওই পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট। ফলে সরকার ওই পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে একটি নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসলেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হত। এছাড়া স্থানীয় ও জাতীয় ভাবে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হত।
একসাথে ৪টি পর্যটন কেন্দ্র দেশের অন্যকোন উপজেলাতে নেই। এ ক্ষেত্রে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রকে ঢেলে সাজিয়ে এ উপজেলাকে পর্যটন উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলায় গড়ে উঠা ৪টি পর্যটন কেন্দ্র দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির চেয়ে আকর্ষনীয়। তারপর ও সরকারী উদ্যোগ ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় সে সকল কেন্দ্র হতে প্রতিদিন সরকারি রাজস্ব ভান্ডার উপকৃত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, গোয়াইনঘাটে প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র সরকারী আয়ের উৎস হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন উদ্যোগ নিয়ে ওই কেন্দ্রগুলিকে তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে পারে।