নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক প্রশস্ত করা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও নগরীর সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই বিরোধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি লাঞ্ছিতের অভিযোগও পাওয়া গেছে। হাসপাতালটির ভাইস-চেয়ারম্যান বশির আহমদের অভিযোগ, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহ আব্দুল আহাদকে মারধর করার করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তবে আরিফুল হক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সড়ক বড় করার জন্য হাসপাতালের জায়গা ছাড়ার নোটিশ দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করে।
উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির আহমদ বলেন, মিরাবক্সটুলা সড়ক বড় করার জন্য আমাদের ছয় ফুট জায়গা ছড়ার জন্য আজ সকালে সিটি কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করে। আমরা তাদের আইনী প্রকিয়া মেনে নোটিশ প্রদান করার কথা বলি।
এপর বেলা ৩ টার দিকে মেয়র আরিফুল হক ২০/২৫ জন লোক নিয়ে হাসপাতালে এসে হাসপাতালের এমডি ডা. শাহ আব্দুল আহাদকে মারধর করেন। মারধরে তিনি কানে আঘািতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বশির আহমদ বলেন, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই মেয়র আরিফ হাসপাতাল ভেঙ্গে ফেলার জন্য সিটি করপোরেশনের বুলডোজার পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মিরবক্সটুলা সড়ক বড় করার কাজ চলছে। এজন্য জায়গা ছাড়ার জন্য ওইমেন্স হাসপাতাল কর্তপক্ষকে নোটিশ প্রদান করলে তা আপত্তি জানান। বিকেলে কয়েকজন কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমি হাসপাতালে গেলে তারা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। হাসপাতালের এমডিকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, সড়কের জায়গা না ছাড়তেই তারা এসব মিথ্যে বলছে। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গৌছুল হোসেন বলেন, মেয়রের সাথে এক চিকিৎসকের তর্কতার্কি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পুরো ঘটনা এখনো জানি না। কোনো অভিযোগ পাইনি।