বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শ্রেণী কক্ষ থেকে এক ছাত্রলীগনেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম লিটু আহমদ (২৩)। লিটু ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য কলেজের প্রধান ফটকে দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের একটি কক্ষ থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান। এসময় তারা ঐ কক্ষে গিয়ে যুবকের রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় কক্ষে অন্য কাউকে পায়নি পুলিশ। এমনকি কক্ষে কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবকের ডান চোখের উপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথার পিছন দিকে বেরিয়ে যায়।
নিহত যুবক লিটু আহমেদ পৌরশহরের নয়াগ্রাম রোডের একটি মোবাইল দোকানের মালিক। তার বাড়ি পৌরসভার পন্ডিতপাড়া এলাকায়। তবে কেন তিনি কি কারণে কলেজের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তা তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি।
লিটু আহমেদের মৃত্যুটি চোরাগোপ্তা হামলা নাকি ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরিন কোন্দল থেকে ঘটেছে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খালেদ আহমদ লিটুর মাথায় গুলি লেগেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।