মিডিয়া ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন না জানিয়ে বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এদিন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হন।
আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে, সোমবার মামলাটি পুনরায় তদন্ত করতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। সময়ের আবেদন দাখিল করেন খালেদা জিয়া। আদালত সময়ের আবেদনটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।
২৬ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও এম হেলাল উদ্দিন।
অপরদিকে দুদুকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল মামলার আসামি খালেদা ও তারেকের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ দিন মামলার আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষের সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান(পলাতক)।