নিজস্ব প্রতিবেদক : পরীক্ষা থেকে ফিরে এসে মায়ের রান্না করা খাবার খাবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন খাদিজা, বদরুলের হামলায় ৪মাস পর সে প্রতিশ্রুতি রাখতেই নিজ বাড়িতে মায়ের কোলে ফিরলেন খাদিজা।
বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় সিলেট সদর উপজেলার আউশা গ্রামের বাড়িতে ফিরেন খাদিজা। এর আগে ২টা ১৭ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
খাদিজার ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে আউশা গ্রামের সাধারণ মানুষসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ তাঁকে একবার দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন। নিজ বাড়িতে মায়ের সাথে দেখা হবার পর মা ও মেয়ে দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে খাদিজা বা তার মা এখন পর্যন্ত কোন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি।
গত বছরের ৩ অক্টোবর শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতা (বহিষ্কৃত) বদরুল আলমের চাপাতি কোপে আহত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো খাদিজাকে। প্রায় এক মাস তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে থাকতে হয়েছে। তারপর থেকে তিনি পক্ষাঘাত পুণর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তার চিকিৎসার অংশ হিসেবেই বুধবার তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খাদিজার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। ওসমানী বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ও তার ্গ্রামের বাড়িতে আসার পর তাকে অনেকটা সুস্থ্য দেখা গেছে।
বিমানবন্দরে খাদিজার ভাই শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, খাদিজার মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য এক সপ্তাহের জন্য তাকে সিলেটে আনা হয়েছে। এই সময়কালে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন। এক সপ্তাহ পর ফের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে খাদিজাকে।
এদিকে বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন তার বাবা মাসুক মিয়া। ফলে বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি তারা বাড়ির উদ্যোশ্যে রওয়ানা হন।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতি কোপে আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো খাদিজাকে। সেখানে প্রথমে স্কয়ারে এবং পরবর্তীতে সাভারের সআরপিতে চিকিৎসাধিন ছিলেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে ।