সিলেট মিডিয়া ডেস্ক: বছর ঘুরে আবার এসেছে ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীর গৌরবের-অহংকারের ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ৫২’র ফেব্রুয়ারিতেইতো বিশ্বের বুকে অনন্য এক নজির স্থাপন করেছিলেন সালামcরকত-রফিক-জব্বার-শফিউল এবং নাম না জানা আরও অনেক শহীদ ভাষা সৈনিক। তাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
‘একুশ’ এখন আর কেবল বাংলাদেশ ও বাঙ্গালীর গৌরব নয়, গোটা বিশ্বের নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের গৌরব আর অহংকারের নাম। আমাদের ‘একুশ’ এখন সরাবিশ্বের, এমনকি পাকিস্তানেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে, সেই ২০০০ সাল থেকে।
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সিলেটবাসীর অসামান্য অবদান রয়েছে। ভাষা আন্দোলন ও তার ব্যতিক্রম নয়। জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট পাকিস্তানের শুরুতেই স্বার্থান্বেষী মহল এবং শাসকগোষ্ঠি আমাদের সাহিত্য সংস্কৃতি ধ্বংসের সুপরিকল্পিত চক্রান্তে মেতে উঠে। তারই অংশ হিসাবে তারা প্রথমেই আঘাত হানে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবেই তারা ঘোষণা করে বসে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু হয়েও এমন অপ্রত্যাশিত আঘাতে বাংলার মানুষ বুঝতে পারেন, যে আশা আর আকাংখা নিয়ে তারা পাকিস্তান চেয়েছিলেন, শাসকগোষ্ঠি তা ধুলায় মিশিয়ে দিতে তৎপর। তারা ইস্পাত কঠিন শপথে মাঠে নেমে পড়েন। সারা দেশে বাংলার পক্ষে জনমত গঠন করতে থাকেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে কাঁপিয়ে দেন পশ্চিমের মসনদ।
সেই কঠিন সময়ে সিলেটের জনসাধারণ মূখ্য ভূমিকা রাখেন। পাকিস্তানের উন্মেষকালেই তারা রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন। ফেব্রুয়ারি এলেই সারাদেশে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে নানা কর্মস;7꿼f!
H_ejw =8Dরহন করা হয়। প্রায় সারা মাস তা অব্যাহত থাকে। বিভিন্ন সংগঠন আজও ভাষার মাস বরণ করতে নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বর্ণমালার মিছিল’। আজ তারা রাজপথে নামবে শোভাযাত্রা নিয়ে।