গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে ভেসে যাওয়া নারীর মরদেহ এখনো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিখোঁজ জনি রানী দাসের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় স্বামী রঙ্গেশ দেব ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত রবিবার দুপুরে উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। তখন স্থানীয়রা ভেসে যাওয়া মরদেহটি দেখতে নদী তীরে ভিড় জমান। তখন অনেকেই মরদেহটির ছবিও তুলে রাখেন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ হওয়া বাদেপাশা ইউপির দক্ষিণ আলমপুর গ্রামের জনি রানী দাস (২৬) এর স্বামী রঙ্গেশ দেব নদীতে লাশ ভেসে যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি ভেসে যাওয়া মরদেহের ছবি দেখে তার স্ত্রীর লাশ হিসেবে সনাক্ত করেন।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক কুশিয়ারা ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মীর নাসিরসহ কুশিয়ারা ফাঁড়ির এএসআই খালেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌঁছার পূর্বেই লাশ দ্রুত গতিতে ভেসে চলে যায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় অনেক খোঁজাখুজি করা হলেও লাশের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় জনি রানী দাসের পিতা সজল কান্ত দাস তার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে উল্লেখ করে রঙ্গেশ দেবকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নং (১৯(০১)১৭)।
সোমবার মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মীর নাসির সহ একদল পুলিশ জনি রানী দাসের স্বামী রঙ্গেশ দেব (৩২) ও রঙ্গেশ দেবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিল্পী রানী দেব (৩০) কে আটক করে গোলাপগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ কর্মকর্তা মীর নাসিরের জানান মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তারা এখনো এ ব্যাপারে কোন কিছু জানায়নি।