বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যকরী সদস্য শেখ মোহাম্মদ আসলামকে সংবর্ধনা দিয়েছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকা। তাকে প্রদান করা হয় বিশেষ ক্রেস্ট। তিনি তার ক্রেস্টটি প্রয়াত শেখ কামালকে উৎসর্গ করেন। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা বাংলাদেশের ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আসলামের প্রতি অনুরোধ জানায়। জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে সরকার সব চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি ঢাকায় ফিরে ফুটবল ফেডারেশনের কাছে প্রবাসীদের দাবির কথা তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত খান বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অলিম্পিয়ান সাঈদুর রহমান ডন, সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ সাঈদ-উর-রব, মোস্তফা হোসেন মুকুল, প্রাণ গোবিন্দ কুন্ডু, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ এনায়েত আলী, আমিনুল ইসলাম লিটন, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষক শাসমুল আবদীন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বর্ণমালার প্রধান সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ক্রীড়া সংগঠক কবীর চৌধুরী জসী, ওয়াহিদ কাজী এলিন, মোহাম্মদ আনোয়ার, রোমিও রহমান, তৈয়বুর রহমান টনি, ক্রীড়া সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ আবদীন, বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেখ মোহাম্মদ আসলাম তার ফুটবলার হয়ে ওঠার পেছনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখতাম ভালো ফুটবলার হবো, জাতীয় দলের ফুটবলার হবো। আপনারাই আমাকে সেই আসলাম বানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার হাত ধরেই এই ফুটবলে এসেছি। এরশাদের শাসনামলে আবাহনী ক্লাব বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র হয়ে ছিল। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে কেঁদেছিলেন এবং আবাহনী ক্লাবকে তথা শেখ কামালের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন। আমরা তার কথা রেখেছিলাম। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়ে ছিল। পরে তিনিও আমাদের পাশে ছিলেন এবং এখনো খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।’