এসবিএন ডেস্ক:
আবারও প্রাণ হারালো আরেক গৃহবধূ। যৌতুকের জন্য নবীগঞ্জে আগুনে পুড়িয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামীসহ ৩ জনকে আটক করেছে। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবী সে পাগল ছিল তাই আত্মহত্যা করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের লিটন দাশের স্ত্রী গীতা রানী দাশকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময়ই মারধোর করতো স্বামী। গতকাল রোববার সকালে লিটনের পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ অবস্থায় গৃহবধূ গীতার অগ্নিদ্বগ্ধ লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে গীতার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানান, গীতা মানষিক রোগী ছিল। সে ঘরে আগুন দিয়ে ভিতরে বসে আত্মহত্যা করেছে। নিহত গীতার বড়ভাই সঞ্জিত দাশ জানান, গীতার স্বামী প্রায় সময়ই যৌতুকের জন্য গীতাকে মারধোর করতো। গীতাকে রেখে তার স্বামী লিটন দাশ গত বছর আরেকটি বিয়ে করেছে। যৌতুকের জন্যই গীতাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত গীতা মানষিক রোগী ছিল। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা যাচ্ছে না। লাশের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী লিটন দাশ ও তার বাবা বিশল দাশ ও মা জবরানী দাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।