স্যাম বিলিংসের ঝড়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি আদায় করেন মাত্র তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ইংলিশ ব্যাটসম্যান বিলিংস। জবাবে ১৪৬ রানে সবকটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওভারের শেষ বলে পাকিস্তান তাদের শেষ উইকেটটি হারায়।
দলের মাস্টার ব্লাস্টার জস বাটলার এবং নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার জো রুটকে বিশ্রামে রেখে এদিন নতুনদের সুযোগ দিয়ে দারুণভাবে সফল হয় ইংল্যান্ড দল। অপরদিকে পাকিস্তান দলের হয়ে অপরাজিত থেকে সর্বোচ্চ ২৫ রান সংগ্রহ করেছেন টেল এন্ডার সোহেল তানভির। অষ্টম উইকেট জুটিতে আনোয়ার আলীকে (২০) সঙ্গে নিয়ে তিনি দলীয় সংগ্রহ শালায় যোগ করেছেন ২৫ রান। নবম উইকেটে ওহাব রিয়াজকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে তিনি যোগ করেন ৪৫ রান। যেখানে ওহাবের যোগান ছিল ২১। তার ওই ধারবাহিকতা ইংলিশ দলে চিন্তার রেখাও ফুটিয়ে তুলেছিল। তবে শেষ ওভারে ২০ রানের টার্গেট পূরণ করতে গিয়ে পাকিস্তানিরা প্রমাণ করে যে, জয় অনেক দূর।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয়া ইংলিশরা শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় সেটি পুষিয়ে নেয়। অধিনায়ক মর্গানের ৪৫ এবং জেমস ভিন্সের ৪১ রান দলকে বিপর্যয় মুক্ত করে। তাদের গড়ে দেয়া মঞ্চে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২৫ বলে ৫৩ রান সংগ্রহ করেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বিলিংস। পাকিস্তানের হয়ে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন সোহেল তানভির।
জবাবে পাকিস্তানও শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে মুক্তি পায়নি। ৫০ রানের স্তর পার হবার আগেই তারা হারিয়ে বসে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সরফরাজ, হাফিজ, রাফাতুল্লাহ মাহমুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট। শতরানের স্তর পেরুবার আগেই তারা হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। পরবর্তীতে টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধে ইংলিশদের সাময়িকভাবে চিন্তার মধ্যে ফেলে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ইংলিশ দলের হয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন রিচ টপলি ও লিয়াম প্লুনকেট। দু’টি উইকেট নেন স্টিফেন পেরি। বাসস
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ১৬০/৫, ২০ ওভার (বিলিং ৫৩, মর্গান ৪৫, জেমস ভিন্স ৪১, সোহেল তানভির ২/৩১)।
পাকিস্তান: ১৪৬/১০, ২০ ওভার (সোহেল তানভির ২৫*, ওহাব রিয়াজ ২১, আনওয়ার আলী ২০, রিচ টপলি ৩/২৪, লিয়াম প্লুনকেট ৩/২১)