বার্সেলোনার জয়রথ ছুটছেই। আরো স্পষ্ট করে বললে, গোল-উৎসব চলছেই। আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দশ গোল দেওয়া বার্সেলোনা শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষেও গোল-উৎসব করেছে।
নেইমারের জোড়া গোল আর মেসি ও সুয়ারেজের একটি করে গোলে লা লিগার এই ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানের বড় জয় পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণে সোসিয়েদাদের রক্ষণভাগ তছনছ করে দেয় বার্সেলোনা। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি ন্যু ক্যাম্পের ৭৪ হাজার দর্শককে। ২২ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দেন নেইমার। মেসির দারুণ ফ্লিক থেকে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে নিচু ক্রস দিয়েছিলেন দানি আলভেস। অতিথিদের এক খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো সমস্যা হয়নি দারুণ ছন্দে থাকা ব্রাজিল অধিনায়কের।
প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক চার মিনিট আগে স্বাগতিকদের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুয়ারেজ। এবারের গোলের যোগানদাতাও যথারীতি আলভেস। বক্সের ভেতরে থাকা সুয়ারেজকে দারুণ এক চিপে বল পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান রাইট-ব্যাক। তার পাঠানো বলে সরাসরি দারুণ এক ভলিতে বল জালে জড়ান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতেও বেশি সময় লাগেনি বার্সার। ৫৩ মিনিটে নিজের জোড়া গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করেন নেইমার। জেরমি ম্যাথিউয়ের বাড়ানো ক্রস থেকে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। লা লিগার এই মৌসুমে সর্বোচ্চ (১৪) গোলের মালিক এখন পর্যন্ত নেইমারই।
এরপর ৫৯ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগটি পেয়েছিলেন মেসি। নেইমারের পাস থেকে মেসির ভলি পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটেই মেসির আরেকটি শট ধরে ফেলেন অতিথি গোলরক্ষক। ৬৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকার একটি ফ্রি-কিকও অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ হয়নি। ৮৭ মিনিটে তো মেসির শট ক্রসবারে লেগেই ফিরে আসে।
তখন মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচে স্কোরশিটে নাম লেখানো হবে না মেসির। তবে ফুটবলের খুদে জাদুকরকে শেষ পর্যন্ত গোল বঞ্চিত রাখা যায়নি। অতিরিক্ত সময়ে মেসির করা গোলে পুরো কৃতিত্ব অবশ্য নেইমারের। সোসিয়েদাদের এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে বল নিয়ে এসে বক্সের ভেতর মেসিকে বল বাড়ান ব্রাজিল তারকা। বল জালে জড়াতে কোনো সমস্যা হয়নি চারবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের।
২০১৫ সালে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১৬০ গোল করল বার্সেলোনা। যার ১২৫ গোলই এসেছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের থেকে। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে জয়ে ১৩ ম্যাচে লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৩৩। রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।