এসবিএন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র-বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুটি মামলায় মোট ১১৩ জন শিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে থানার এসআই মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। চকবাজার থানার ডেস্কে দায়িত্বরত কনস্টেবল মো. শফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৮ সালের অস্ত্র আইনে এবং ১৯৪৭ সালের বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩ ও ৪। বিস্ফোরক আইনের মামলায় আটক থাকা ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৯০ থেকে ৯৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিস্ফোরক আইনের ১৬ (২) ধারার সঙ্গে মামলার বাদী এজাহারে দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ও ৪২৭ ধারাও সংযুক্ত করেছেন। হোস্টেল থেকে চারটি কিরিচ, ৬টি হকিস্টিক, তিনটি পিস্তলের গুলির খোসা উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯ (১) ধারার মামলায় আটক থাকা চারজনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৬৬ জনকে আটক করা হলেও ১৪ জন ছাড়া বাকি সবাইকে আওয়ামী লীগ নেতারা রাতে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে চট্টগ্রাম কলেজে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শিবিরের হামলার শিকার হয় ছাত্রলীগ। হামলার পর ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতাকর্মী কলেজ ঘিরে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে শিবিরের নেতাকর্মীরা কলেজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে এর আগে ছাত্রলীগ, শিবির এবং পুলিশ ত্রিমুখী সংঘাতের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘাতের একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গেইট ভেঙে চট্টগ্রাম কলেজের ভেতরে ঢুকে যায়। সেখানে বিভিন্ন ভবনে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিবিরকর্মী সন্দেহে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৬৬ জনকে আটক করে। সংঘাতের কারণে চট্টগ্রাম কলেজে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা পণ্ড হয়ে যায়। শিবিরের হামলায় নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনিসহ কয়েকজন আহত হন। রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ও এর সামনাসামনি মহসিন কলেজের সব হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।