এসবিএন ডেস্ক:
মহান বিজয় দিবসে দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখ মানুষের। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় ফুলে ফুলে ভরে যাবে শহীদ বেদী।
এর আগে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। নানা রঙের বাহারী ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়িসহ সকল স্থাপনায় পড়েছে রং তুলির আঁচড়। ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, স্মৃতিসৌধের শোভাবর্ধনের জন্য প্রতিবছরের তুলনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার হাতে নেয়া হয়েছিল বাড়তি সাজসজ্জার কাজ। অজ্ঞাত শহীদদের কবরস্তান, স্মৃতিসৌধের মূল বেদীতে, প্রতিটি রাস্তায় করা হয়েছে কয়েক দফা রং তুলির কাজ। অপ্রয়োজনীয় ঘাস কর্তনসহ সৃতিসৌধের সামনে অবস্থিত সুইমিংপুলটি পুরোপুরি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভরে বাড়ানো হচ্ছে পুরো স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য। শোভাবর্ধনের জন্য পুরো স্মৃতিসৌধটিকে ঝলমলে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
দিনটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এজন্য প্রয়োজনীয় মহড়াও শেষ করা হয়েছে। ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে ও শেষ করা হয়েছে ৩ বাহিনীর মহাড়া। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ওয়ার্স টাওয়ার বসানো হয় । এছাড়া ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত কয়েকটি ওয়াস টাওয়ার নিমার্ণের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা, বিএনপি চেয়ারপারসন এবং রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন বৈদেশিক কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন সংগঠন বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানোর পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।